ইস্ট-ওয়েস্টের মহড়া। ফাইল চিত্র
আগামী বৃহস্পতিবার, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন পর্ব নির্বিঘ্নে সারতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
ট্রেন, স্টেশন-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও যাতে কোথাও কোনও রকম ফাঁক না থাকে, সে দিকেও কড়া নজর রাখছেন কর্তৃপক্ষ। এমনকি মেট্রোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই এমন কোনও ঘটনা থেকেও যাতে কোনও বিতর্ক দানা বাঁধতে না পারে, তা নিয়েও ‘অতি মাত্রায়’ সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। যে কারণে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার যাত্রী পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও, সরকারি ভাবে যাত্রীদের জন্য মেট্রো খুলে দেওয়া হবে তার পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকে পাঁচ নম্বর সেক্টরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক এলইডি পর্দার ব্যবস্থা থাকলেও সে দিন সাধারণ যাত্রীদের সরাসরি মেট্রো স্টেশনে প্রবেশাধিকার থাকছে না। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে স্টেশন।
মেট্রো সূত্রে খবর, রেলমন্ত্রী পাঁচ নম্বর সেক্টর স্টেশনে পতাকা দেখিয়ে মেট্রোর যাত্রা সূচনা করার পরে তিনি অন্য একটি ট্রেনে উঠতে পারেন ধরে নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। পাঁচ নম্বর সেক্টরের পাশাপাশি সেন্ট্রাল পার্কে মেট্রোর ডিপোতেও প্রয়োজনে অনুষ্ঠান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জরুরি প্রস্তুতিও সেরে রাখা হচ্ছে বলে খবর। গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে বিক্ষোভের জেরে যে ধরনের ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, কোনও ভাবেই তার সামান্য পুনরাবৃত্তিও চান না রেলমন্ত্রকের কর্তারা। ফলে যাবতীয় বিপত্তি এড়াতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়তি সতর্ক মেট্রোকর্তারা।
ইতিমধ্যেই মেট্রোর শীর্ষ কর্তারা যাবতীয় প্রস্তুতি এক দফা খতিয়ে দেখেছেন। তার পরেও সব কিছু ত্রুটিমুক্ত রাখতে সোমবার সকাল থেকে ফের পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানো হয়। চূড়ান্ত উদ্বোধনের আগে আজ, মঙ্গলবার রাতে ফের যাবতীয় প্রস্তুতির এক দফা মহড়া দেওয়ার কথা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
যাত্রী পরিষেবা শুরু করার আগে বিভিন্ন স্টেশনে কেমন ভিড় হতে পারে এবং স্টেশনগুলিতে কী ধরনের পার্কিং পরিকাঠামো রয়েছে, সে সম্পর্কে বিধাননগর কমিশনারেটকে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা শুরুর পরে যাত্রীদের যাতে সল্টলেকের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় রাস্তা পারাপার করতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার জন্য বিধাননগর প্রশাসনের সঙ্গে যাবতীয় সমন্বয় রাখছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।