ক্যালিফোর্নিয়া যাচ্ছে ফাইবারের ৫ চালা দুর্গামূর্তি। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আর দু’মাসও বাকি নেই। রয়েছে করোনা সঙ্কটও। বাধা কাটিয়েই কার্তিক-গণেশ-লক্ষ্মী-সরস্বতীকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতে শুরু করেছে উমা। তবে গত বারের থেকে তুলনায় কম। এ পর্যন্ত ১০-১২টি ফাইবারের দুর্গাপ্রতিমা বিদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। গত বার এ সময়ে প্রায় ৩০টি প্রতিমা বিদেশযাত্রা করেছিল। করোনার কারণে অনেকে অর্ডার দিয়েও, চুক্তি বাতিল করে দিচ্ছেন বলে জানাচ্ছে কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতি।
সংগঠনের যুগ্মসচিব রঞ্জিত সরকার বলেন, “এখনও খুবই খারাপ অবস্থা মৃৎশিল্পীদের। আগের মতো অবস্থা নেই। তবুও কিছু সংখ্যায় প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে।”
দুর্গাপূজায় বাংলার বাইরে, বিশেষত বিদেশে ফাইবারের দুর্গাপ্রতিমাই পাঠানো হয়। কারণ ফাইবারের মূর্তি বহু বছর ধরে ব্যবহার করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পুজোতেই প্রেক্ষাগৃহে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ আর ‘গোলন্দাজ’?
কুমোরটুলির মতোই, বেহালা সমেত শহরের বিভিন্ন প্রান্তের স্টুডিয়ো থেকে প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। বেহালার দেব এক্সপার্ট সংস্থার পক্ষ থেকে দেবরঞ্জন দে বলেন, “বিদেশে জলে প্রতিমা বিসর্জন প্রায় নিষেধ। সে কারণেই ফাইবারের মূর্তির চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া হালকা ও মজবুত। সাধারণত আকাশপথেই অধিকাংশ প্রতিমা পাঠানো হয়। তবে জলপথেও যায়। আমরাও আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় ফাইবারের ৫ চালা দুর্গামূর্তি পাঠাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: পুজোর আয়োজন কী ভাবে, খোঁজ নিচ্ছে লালবাজার
বাংলা থেকে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলস, বোস্টন, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড, রোম, কানাডা সমেত পৃথিবীর নানা জায়গায় প্রতিমা যায়। দেবরঞ্জনবাবু বলেন, “মূর্তির আকার অনুযায়ী দাম ঠিক হয়। দুর্গার সাজের ক্ষেত্রেও চুল থেকে মায়ের শাড়ি ও সব অলঙ্কারও মূলত ফাইবারের হয়, যাতে বিদেশি ক্রেতা বছরের পর বছর একই ঠাকুর পুজো করলেও রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা প্রায় থাকে না।”