ফুটপাত ধরে পথচারীরা যাতে অবাধে হাঁটাচলা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। —ফাইল চিত্র।
ফুটপাত ধরে পথচারীরা যাতে অবাধে হাঁটাচলা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এ বার দক্ষিণ দমদমেও সেই প্রক্রিয়া চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় পুর প্রশাসন। সোমবার থেকেই এ নিয়ে মাইকে প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
দমদমের তিন পুরসভা জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। ফুটপাতে হকারদের একটি শৃঙ্খলায় আনা হবে। রাস্তার ধারে বা ফুটপাত জুড়ে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি, বেআইনি পার্কিং নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগও খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। উত্তর দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, সেখানে এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। হকারদের বিকল্প জায়গা দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনাও শুরু হয়েছে। আবার দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, পুরসভা আগেও রাস্তা কিংবা ফুটপাত থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে। এ বার সেই কাজে জোর বাড়ানো হবে।
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, এমবি রোড, যশোর রোড, দমদম রোড-সহ একাধিক জায়গায়
ফুটপাতে দখলদারির সমস্যা দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফুটপাত ধরে হাঁটাচলা করাই মুশকিল। প্রশাসন কাজ শুরু করলেও রাতারাতি সমস্যা মিটবে বলে মনে করছেন না তাঁরা। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া চলবে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, সোমবার থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই পুর এলাকায় হকারদের বিকল্প জায়গা দেওয়ার মতো জমির অভাব রয়েছে। যদিও রাস্তা বা ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রাখা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান তিনি। ওই এলাকায় পার্কিং সমস্যা সমাধানেও সচেষ্ট হচ্ছে পুরসভা।
দমদমের ফুটপাতে ব্যবসা করে সংসার চালান কয়েক হাজার মানুষ। ওই হকারদের একাংশের বক্তব্য, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতে ব্যবসা করছেন। তাঁদের কথাও বিবেচনা করা হোক। তিন পুরসভারই পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের দাবি, মানুষের রুজি-রোজগারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, আবার পথচারীরাও যাতে নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে একটি ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা হচ্ছে।