নিঃশ্বাস পরীক্ষার জন্য আর মুখে পাইপ নেওয়ার বা ছোঁয়ার দরকার পড়বে না। প্রতীকী ছবি।
একের পর এক গাড়ি, মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার দিয়ে পরীক্ষা করছেন পুলিশকর্মীরা। চালকদের ব্রেথ অ্যানালাইজ়ারের পাইপে মুখ দিয়ে ফুঁ দিতে বলছেন তাঁরা। তাতে কেউ কেউ বিনা বাধায় ফুঁ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মুখে ওই পাইপ নিতে অস্বীকার করছেন। তাঁদের বক্তব্য, ব্রেথ অ্যানালাইজ়ারের ওই পাইপ বদলে দেওয়া হলেও, তাতে যে অন্য কারও ছোঁয়া লাগেনি, নিশ্চয়তা কোথায়? এমন আপত্তি নতুন নয়। ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার দিয়ে পরীক্ষা করার সময়ে প্রায়ই এমন ঘটনার সম্মুখীন হন পুলিশকর্মীরা। এ বার ওই অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে এবং বিনা বাধায় মত্ত চালকদের চিহ্নিত করার জন্য ‘কন্ট্যাক্টলেস ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার’ কিনতে চাইছে লালবাজার। যাতে মুখে না ছুঁইয়ে শুধুমাত্র ফুঁ দিয়েই নিঃশ্বাস পরীক্ষা করা যায়।
লালবাজার সূত্রের খবর, নিঃশ্বাস পরীক্ষার জন্য আর মুখে পাইপ নেওয়ার বা ছোঁয়ার দরকার পড়বে না ওই যন্ত্রে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ৫০টি ওই ধরনের ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার কেনা হবে। কত খরচ হতে পারে এবং কোথা থেকে সেগুলি কেনা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে পুলিশমহলে। এক পুলিশকর্তা জানান, সরকারি পদ্ধতি মেনে বাকি সব কিছু করা হবে। হাতে ওই যন্ত্র এলে তার মহড়া করার পরেই ট্র্যাফিক গার্ডগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, করোনা অতিমারির পর থেকে ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার ব্যবহারে এই আপত্তি বেড়েছে। সূত্রের দাবি, নতুন ওই ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার ব্যবহার করা হলে তা শুধু মুখের সামনে ধরে ফুঁ দিলেই হবে। তাতেই যন্ত্র নির্ধারণ করে নেবে ওই ব্যক্তির রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ কত। বর্তমানে রাতে শহরে মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। লালবাজারের হিসেব, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন চালককে পরীক্ষায় মত্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।