ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা কর্মস্থলে নারীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেই ঘটনার জেরে কলকাতা পুরসভায় মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে ব্যানার লাগানো হয়েছে। কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, “কলকাতা পুরসভার প্রতিটি দফতর ক্লোজ় সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।” কোনওটিতে লেখা, “কলকাতা পুরসভার মহিলা সিকিউরিটির ব্যবস্থা করতে হবে।” আবার একটি ব্যানারে লেখা হয়েছে, “কলকাতা পুরসভার মহিলা কর্মীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” আরও একটি ব্যানারের বক্তব্য, “কোনও মহিলা কর্মীকে ছুটির দিনে ডিউটি করানো চলবে না। কোনও মহিলা কর্মীকে সূর্যাস্তের পর ডিউটি করানো চলবে না।” ব্যানারগুলিতে কোনও সংগঠনের নাম না লেখা থাকলেও, তৃণমূল কাউন্সিলরেরা মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কলকাতা পুরসভার সংগঠনের তরফেই সেগুলি লাগানো হয়েছে।
তবে এমন ব্যানার লাগানোর প্রেক্ষিতে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “কলকাতা পুরসভায় মেয়েদের যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে। আমার পুরসভায় কোনও মেয়ে সূর্যান্তের পর কাজ করেন না। পুরভবনে থাকেনও না। তবে যখন এমন ঘটনা ঘটেছে, তখন আমি বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার বন্দোবস্ত অবশ্যই করব।” প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই সরকারি তথা বেসরকারি অফিসগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দিয়ে বিবেচনা করতে বলা হচ্ছে। পুরসভার বাইরের বিভাগে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার মূল ভবন ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা তাদের অন্যান্য দফতরগুলিতেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। অফিসের বাইরের দিকে পর্যাপ্ত মহিলা শৌচাগার রাখতে হবে বলেও আলোচনা চলছে। নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।