পুলিশকে প্রহার, গ্রেফতার মত্ত যুবক

সপ্তাহ না ঘুরতেই ফের মত্ত যুবকের হাতে প্রহৃত পুলিশ। ২৮ মে প্রিন্সেপ ঘাটে মত্ত অবস্থায় দুই তরুণী ও এক ব্যক্তি গোলমাল করায় বাধা দেয় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

সপ্তাহ না ঘুরতেই ফের মত্ত যুবকের হাতে প্রহৃত পুলিশ। ২৮ মে প্রিন্সেপ ঘাটে মত্ত অবস্থায় দুই তরুণী ও এক ব্যক্তি গোলমাল করায় বাধা দেয় পুলিশ। গালিগালাজ করে উর্দি ছিঁড়ে দেওয়া হয় কর্তব্যরত পুলিশের। তেমনটাই ঘটল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। মত্ত গাড়িচালকের হাতে প্রহৃত হলেন কর্তব্যরত পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন চালক আকাশ দে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩ জুন রাতে মোটরবাইক নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন গরফা থানার কনস্টেবল শিবেন ভট্টাচার্য ও এক সিভিক পুলিশ। অভিযোগ, গত শনিবার রাতে সেলিমপুর থেকে সাপুইপাড়া যাওয়ার সময়ে বিপরীত দিক একটি গাড়ি বেপরোয়া ভাবে আসছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গাঙ্গুলিপুকুরের কাছে গাড়িটিকে ও ভাবে আসতে দেখে কনস্টেবল শিবেনবাবু মোটরবাইকটি পাশের গলিতে ঢুকিয়ে দেন। এর পরে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে পড়ে।

পুলিশের অভিযোগ, এর পরেই পুলিশকে দেখে গালিগালাজ শুরু করেন মত্ত চালক। শিবেনবাবু প্রতিবাদ করলে চালক গাড়ি থেকে নেমে কনস্টেবলের জামা টেনে ছিঁড়ে দেন, ঘুষিও মারেন। পরে কনস্টেবল থানায় ফোন করেলে পুলিশ এসে গাড়িচালক আকাশকে গ্রেফতার করে। রবিবার আলিপুর আদালত ধৃতকে ৭ দিনের জেল হেফাজত হয়। কিন্তু পরপর এমন ঘটনায় আতঙ্ক প্রকাশ করেছে পুলিশের নিচু তলা। লালবাজারের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশকর্মীদের নিগ্রহের সব ঘটনাই নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। তবে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়া হয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement