ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে বক্তৃতা দিচ্ছেন দেবাশিস হালদার। — নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের অবস্থান। আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের দু’মাসের ব্যবধানে ওই একই জায়গায় আবার অবস্থানে বসেছেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’ এবং ‘অভয়া মঞ্চ’-এর সদস্যেরা। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি মেলার পরে শুক্রবার রাতেই বাঁধা হয়েছে মঞ্চ। অবস্থান বিক্ষোভ চলবে ২৬ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত। জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, এই আন্দোলন সকলের। সকল মানুষকে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে সকাল থেকে উপস্থিত হন বহু সাধারণ মানুষ। যদিও দু’মাস আগের আন্দোলনের ধার একটু হলেও ম্লান। সেই আন্দোলনকেই সংগঠিত রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অবস্থানের ডাক দেওয়া চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সময় গড়ালে ভিড় আরও বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা রাতদিন উপস্থিত থাকবেন মঞ্চে। শনিবার বিকেলে অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার। তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই ভাবছেন, আমরা কেন এখন প্রতিবাদ করছি না। কেন আসছি না। এটা সকলের আন্দোলন। সকলে নিজের মতো প্রতিবাদ করুন।’’
৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও আরজি কর-কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টে সাপ্লিমেন্টারি (অতিরিক্ত) চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। সেই কারণে আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ জামিন পেয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে সিবিআইকে অবিলম্বে চার্জশিট জমা এবং সন্দীপের বিরুদ্ধে চার্জশিটে রাজ্য সরকারের দ্রুত সম্মতির দাবিতে ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান করছেন চিকিৎসকেরা। এর আগে গত ৫ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ওই জায়গাতেই অনশন আন্দোলন করেছিল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। এ বারের অবস্থানের জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ইমেল করে অনুমতি চেয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন। সেই সম্মতি মেলেনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, এই কর্মসূচির কারণে বড়দিন এবং নতুন বছরে যানজট, বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এর পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় চিকিৎসকদের সংগঠন। বুধবার অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে তারা। তার পরেই ডোরিনা ক্রসিংয়ে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ।