প্রতীকী ছবি।
ড্রোন উড়ল মাত্র চার কিলোমিটার এলাকায়। তাতেই উঠে এল ৮০-৯০টি বাড়ির ছাদে মশা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশের ছবি। এই অবস্থা কামারহাটি পুরসভার।
গত বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কামারহাটির একটি ওয়ার্ডেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরে ওই এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল। এ বছর রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা মতো আগে থেকেই ড্রোন উড়িয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে নামল কামারহাটি পুরসভা। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন পরে পুরসভায় নিয়োগ করা হল পতঙ্গবিদও।
গত বছর কামারহাটিতে ডেঙ্গি ও অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫৩ জন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা ৩১ বলেই দাবি চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) বিমল সাহার। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি। তবে গোটা পুর এলাকায় ডেঙ্গি নির্মূল করতে আগে মশার আঁতুড়ঘর খোঁজা হচ্ছে। তাই ড্রোন ব্যবহার করছি। প্রয়োজনে আবার ব্যবহার করা হবে।’’
অজানা জ্বর কিংবা ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের মতো না হলেও সোমবার কামারহাটি ও বেলঘরিয়া এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে যে ছবি উঠে এসেছে, তাতে চিন্তায় পড়েছেন পুরকর্তারা। কারণ, বাড়ির ছাদে জমা জলের সঙ্গে বন্ধ কারখানা ও আরও বেশ কয়েকটি জায়গা ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি থাকার ছবি মিলেছে। পুরকর্তাদের মতে, ওই সমস্ত জায়গায় এডিস মশার লার্ভা থাকার আশঙ্কা বেশি। যে সমস্ত বাড়ির ছবি মিলেছে, সেগুলির হোল্ডিং নম্বর দেখে বুধবার থেকে সেখানে নোটিস নিয়ে পৌঁছে যাবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। নোটিস পাওয়ার এক দিনের মধ্যে যদি সেই বাড়ির মালিক কোনও ব্যবস্থা না নেন, তা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান বিমল।
কামারহাটির বেশ কিছু জায়গায় পুরকর্মীরা সহজে ঢুকতে না পারার সমস্যার কথা মেনে নিয়ে চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘ড্রোনের মাধ্যমে সব ছবি তুলে আনা হচ্ছে। বন্ধ কারখানা-সহ অন্য যে জায়গায় জঙ্গল রয়েছে সেখানেও নোটিস দেওয়া হবে। তার পরেও কিছু না করলে পুরসভা সেখানে ঢুকবে।’’