দক্ষিণ দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
সাততলা ভবনে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘদিনের। সেই প্রকল্পের পরিকাঠামোগত কাজও অনেকটা এগিয়েছে। তবু গত দু’বছরে হাসপাতাল চালু করা যায়নি। চলতি বছরে সেই হাসপাতাল ফের চালু করতে উদ্যোগী দক্ষিণ দমদম পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে এর জন্য পুর বাজেটে এক কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, পুর কর্তৃপক্ষ যেখানে ব্যয়-সঙ্কোচের পথে হাঁটছেন, সেখানে হাসপাতাল চালুর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তো? পুরসভার দাবি, ব্যয়-সঙ্কোচ যেমন হয়েছে, তেমনই উন্নয়নের কাজও চলছে।
বর্তমানে নাগেরবাজার মোড়ের কাছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার পাশেই ৩০ শয্যার পুর হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেই হাসপাতাল এতই ছোট যে, ঠিক মতো সবাইকে পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। তাই যশোর রোডের ধারে শ্যামনগর এলাকায় সাততলা ভবনে হাসপাতালটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ভোটের আগেই। তা কার্যকর হলে এক দিকে যেমন রোগীদের চাপ সামলানো সম্ভব হবে, তেমনই পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ পুরনো হাসপাতাল ভবনে স্থানান্তরিত করাও যাবে।
পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রথমে ঠিক হয়েছিল, কোনও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই হাসপাতাল চালু করা হবে। পরে ঠিক হয়, পুরনো হাসপাতালটিই সাততলা ভবনে স্থানান্তরিত করা হবে। শয্যার সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এর জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের পুর বাজেটে হাসপাতাল তৈরির কাজের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধীদের বক্তব্য, বর্তমান পুর বোর্ডের আমলে পুর পরিষেবার মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময়ে সেই সব অভিযোগের উত্তরে অর্থের অভাবকেই যুক্তি হিসাবে খাড়া করেছেন পুরকর্তারা। চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস অবশ্য বলছেন, ‘‘অর্থের অভাব থাকলেও পুর পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেনি।’’