Calcutta News

রোগী মৃত্যু, ফের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ধুন্ধুমার এসএসকেএমে

সোমবার সকালে এক রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর আত্মীয়েরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসক এবং নার্সদের উপরে চড়াও হন। সেই সময় নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে হাজির থাকা এক চিকিৎসককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ১৬:৩৭
Share:

গোলমালের খবর পেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। —নিজস্ব চিত্র।

ফের চিকিৎসক নিগ্রহ। এ বার এসএসকেএম হাসপাতালে।

Advertisement

সোমবার সকালে এক রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর আত্মীয়েরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসক এবং নার্সদের উপরে চড়াও হন। সেই সময় নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে হাজির থাকা এক চিকিৎসককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে, এনআরএস-এর মতো ‘সময় নষ্ট’ না করে এসএসকেএমের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। গোলমালের খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন ডিসি (সাউথ) মীরাজ খালিদ-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কয়েক জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভবানীপুর থানা মৃত রোগীর ভাই অভিযুক্ত মহম্মদ সাজিতকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৫ জুলাই কিডনির সমস্যা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন খিদিরপুরের বাসিন্দা বছর তিরিশের মহম্মদ সাকির। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হচ্ছিল না। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেতেই তাঁর ভাই মহম্মদ সাজিদ-সহ আত্মীয়-পরিজনরা চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীদের উপর চড়াও হন। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়রা চিকিৎসকদের মারধর করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে জনতার তাণ্ডব, আবারও জুজু পুলিশকে দেখল কলকাতা

আরও পড়ুন: পেটে টিউব, মেডিক্যালে ঠোক্কর ক্যানসার রোগীর

হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা হামলাকারীদের আটক করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি। এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের তরফে পুলিশের কাছে জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করা হয়। পরে সেই অভিযোগকেই এফআইআর হিসাবে গ্রাহ্য মামলা রুজু করে মহম্মদ সাজিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েক জনকে আটকও করা হয়।

গত জুন মাসে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ। ওই ঘটনায় চিকিৎসা নিগ্রহের অভিযোগ ওঠার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালেই শুরু হয় অনশন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পর অনশন তুলে নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পর থেকে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও এসএসকেএমে এ দিনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement