ফাইল চিত্র।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়ার দিকের প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দানের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু মেট্রোর কাজের জন্য ভেঙে দেওয়া শ্রী মার্কেট ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা এবং গাড়ির পার্কিং ও যাত্রীদের দ্রুত ময়দান চত্বর থেকে বেরোনোর বিকল্প পথ নির্মাণ নিয়ে সরকারি স্তরে কোনও আলোচনাই এখনও পর্যন্ত হয়নি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে হাওড়া জেলা প্রশাসন, মেট্রো রেল এবং হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে একটি সমন্বয় বৈঠক করল হাওড়া পুরসভা। হাওড়া পুরভবনে ওই বৈঠকের পরে পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আলোচনায় ঠিক হয়েছে, শ্রী মার্কেটে যে ১২৯টি স্টল ছিল, সেগুলি ফের তৈরি করে দেবেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ছোট গাড়ি, দু’চাকার যান এবং বাসের পার্কিংয়ের জায়গাও তৈরি করা হবে।
হাওড়া থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা কবে চালু হবে, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু হাওড়ার দিকের প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দানের পরিস্থিতি নিয়ে পুরসভা যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, তা এর আগেও একাধিক বার প্রকাশ্যে এসেছে। পুরসভার বক্তব্য ছিল, ‘কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড’ (কেএমআরসিএল) ঘোষণা করেছিল, স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে ফের একই জায়গায় শ্রী মার্কেটের উচ্ছেদ হওয়া ১২৯টি স্টল তৈরি করে দেবে তারা। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছিল, মেট্রোর কাজের জন্য পানীয় জল ও নিকাশির যে সব ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিও ফের যথাস্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।
পুরসভার বক্তব্য, হাওড়া ময়দান স্টেশনের বাইরের অংশের কাজ প্রায় শেষ হতে চললেও মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ওই সমস্ত কাজে হাত দেননি। এ দিনের বৈঠকে মূলত এই বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা হয়। সেখানে কেএমআরসিএল-এর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শ্রী মার্কেটের যে স্টলগুলি বর্তমানে মহাত্মা গান্ধী রোডের দু’পাশে রয়েছে, সেগুলি আগের মতো একই জায়গায় মেট্রো রেলের তৈরি করা ভবনে স্থানান্তরিত করা হবে। এর পাশাপাশি, শরৎ সদনের সামনের গেটে গাড়ি ও মহাত্মা গান্ধী রোডের দু’পাশের ফুটপাতের বাইরে মোটরবাইক রাখার জায়গা করা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে।
পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয়বাবু বলেন, ‘‘হাওড়া ময়দানে যে সমস্ত বাস দাঁড়িয়ে থাকে, মেট্রো চালু হওয়ার আগে সেগুলি সিইএসসি-র অফিসের পাশের বাস টার্মিনাসে পাঠিয়ে দেওয়া যায় কি না, পুলিশ তা বিবেচনা করে দেখছে। তবে এটা প্রথম দফার বৈঠক। পরে ফের বৈঠক হবে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে সুজয়বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার ধবল জৈন, মহকুমাশাসক (সদর) তরুণ ভট্টাচার্য, ডিসি (ট্র্যাফিক) অর্ণব বিশ্বাস-সহ মেট্রো রেলের প্রতিনিধিরা।