লোকসভায় রংবোমাকাণ্ডের তদন্তে নেমে কলকাতায় এল দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। — ফাইল চিত্র।
সংসদ হানায় অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে সোমবার কলকাতায় পৌঁছল দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। কলকাতার যে সব জায়গার সঙ্গে অভিযুক্ত ললিত ঝার কোনও যোগসূত্র রয়েছে, সেখানেই খোঁজখবর করছেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং মধ্য কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় খোঁজখবর চালিয়েছেন। এখন গিরিশ পার্ক থানায় রয়েছে দিল্লি পুলিশের দলটি। পুলিশের সাহায্য চেয়ে সেখানে কথাবার্তা বলছেন তদন্তকারীরা।
সংসদ হানার ‘মূল চক্রী’ ললিত পড়াতেন কলকাতায়। তাঁর বিষয়ে আরও তথ্য জানতে কলকাতার গিরিশ পার্ক, রবীন্দ্র সরণি, বড় বাজার এলাকায় খোঁজখবর করছে দিল্লি পুলিশের ওই দলটি। বাগুইআটি এলাকায় ললিতের একটি বাসস্থান মিলেছে। সেখানেও যেতে পারে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের তরফে এক জনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সংসদে হানার মূল চক্রী হলেন ললিত। তিনি গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিলেন। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ললিত বিহারের বাসিন্দা হলেও শিক্ষকতা করতেন কলকাতা। সংসদ হানার প্রথম ভিডিয়ো ললিত পাঠান এই নীলাক্ষ আইচকে। গত বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। দীর্ঘ ক্ষণ নীলাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জুতোর মধ্যে গর্ত করে ভরে রাখা হয়েছিল রংবোমা। সেই জুতো তৈরি হয়েছিল অন্যতম অভিযুক্ত সাগর শর্মার বাড়ি লখনউতে। সোমবার সেখানে গিয়ে যিনি জুতো তৈরি করেছেন, সেই মুচির খোঁজ শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের একটি অংশ। লখনউ এবং কলকাতার পাশাপাশি কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হরিয়ানাতেও গিয়েছে দিল্লি পুলিশের ওই দল। সংসদ হানার ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে এই রাজ্যগুলির কোনও না কোনও যোগ রয়েছে। তাই সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ।
গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর এবং মনোরঞ্জন ডি গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার পর রংবোমা ছুড়ে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সংসদের বাইরে থেকে একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডেকে। তাঁরা বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত এবং মহেশ কুনাওয়াত। তাঁদের সকলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।