Manipur Violence

এখনও অশান্ত মণিপুর, নিষিদ্ধ দুই জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন করল নিরাপত্তাবাহিনী

এই কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৯
Share:

মণিপুরে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীরা। — ফাইল চিত্র।

গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে উত্তাল মণিপুর। এই কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ বার পূর্ব ইম্ফলের মাকউ পোরবিতে দু’টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটির খোঁজ পেল পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, নথিপত্র এবং দু’টি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, ওই নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠনের নাম ‘কাংলেই ইয়াওল কাননা লুপ’ (কেওয়াইকেএল) এবং ‘পিপল্‌স রেভলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক’ (প্রিপাক)। বুধবারই প্রিপাক-এর তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, পূর্ব ইম্ফলে ধরা পড়েছেন কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির গেরিলা বাহিনীর ন’জন সদস্যও।

বুধবার পূর্ব ইম্ফল থেকে নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়, যার মধ্যে ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট ডিভাইসও ছিল। এর পরেই চর্চা শুরু হয় নানা মহলে। জঙ্গিরা কী ভাবে ওই যন্ত্রটি হাতে পেলেন, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইলন জানান, এই দাবি ভুয়ো। ভারতে ওই যন্ত্র ব্যবহারের সরকারি অনুমোদনই নেই। ফলে জঙ্গিদের কাছে ওই যন্ত্র থাকার দাবিটি অমূলক।

Advertisement

গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠী হিংসায় উত্তাল মণিপুর। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। রাজ্যের পাঁচ জেলায় জারি করা হয় কার্ফু। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের বাড়ির অদূরে বোমা পাওয়া গিয়েছে! আঁটসাঁট করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement