লোকসভায় হানার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ললিত ঝা গ্রেফতার।
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও এক জন গ্রেফতার। দিল্লিতে আত্মসমর্পণ করলেন লোকসভায় হানার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ললিত ঝা। বুধবার থেকে তাঁকেই হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজেই দিল্লির কর্তব্যপথ এলাকার থানায় গিয়েছিলেন। আত্মসমর্পণের পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে সংসদ হানার ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়।
বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামের দুই যুবক চেম্বারে ঢুকে পড়েন। তাঁদের কাছে ছিল রং বোমা। তার মাধ্যমে সভাকক্ষের মধ্যে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেন তাঁরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁদের ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকেই। একই সময়ে সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে। তাঁদেরও তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয়। বুধবার রাতে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশাল শর্মা নামের আরও এক যুবককে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সংসদে হানার মূল চক্রী হলেন ললিত। তিনি গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ।
ললিত বিহারের বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারাতেও মামলা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
কলকাতার সঙ্গেও যোগ রয়েছে ললিতের। তিনি কলকাতায় শিক্ষকতা করতেন। সংসদ হানার প্রথম ভিডিয়ো তিনি পাঠান হালিশহরের নীলাক্ষ আইচকে। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতেও গিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ ক্ষণ নীলাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ললিতের সম্পর্কে তথ্য তাঁর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অবশেষে পুলিশের কাছে নিজেই আত্মসমর্পণ করলেন ললিত।