ফাইল চিত্র
শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা এক বিচারাধীন বন্দি কারারক্ষীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল। সেই পালিয়ে যাওয়া বন্দি মহম্মদ সাজিদ ওরফে রোহিতকে রবিবার পেট্রাপোলের জয়ন্তীপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সাজিদের বাড়ি একবালপুরের মৌলানা মহম্মদ আলি রোড এলাকায়। এক তরুণীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সে। সম্প্রতি বিশেষ সূত্রে খবর আসে, সাজিদ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেই মতো জয়ন্তীবাজারে নজরদারি বাড়ানো হয়। সেখানেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই বন্দি।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩১ মে শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসএসকেএমে পাঁচ বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের এক জন ছিল সাজিদ। সাজিদকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন এক কারারক্ষী। চিকিৎসক পরীক্ষা করার পরে ওই রক্ষী সাজিদকে বিভাগের বাইরে নিয়ে আসেন। তখন এক স্বাস্থ্যকর্মী এসে কারারক্ষীকে জানান, তিনি সাজিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজ ভিতরে ফেলে এসেছেন। কিছু ক্ষণের জন্য সাজিদকে একা দাঁড় করিয়ে রেখে কাগজ আনতে যান কারারক্ষী। সেই সুযোগে সাজিদ চম্পট দেয়। ঘটনাটি ঘটে এসএসকেএমের মেডিসিন ওয়ার্ডের কাছে। বন্দিকে একা রেখে কেন কারারক্ষী কাগজ আনতে গেলেন, ঘটনায় সেই প্রশ্ন ওঠে।