ফাইল ছবি
বাসন্তী হাইওয়েতে ছোট-বড় দুর্ঘটনা প্রতিদিন লেগেই থাকে। এ বার তাই অন্ধকার ওই রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে আলোকস্তম্ভ বসানোর উপরে জোর দিলেন কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। বুধবার রাতে তিনি বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা পরিদর্শনে যান। সেখানেই তিনি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ওই রাস্তার আলোর দিকে নজর দিতে বলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, সায়েন্স সিটির কাছ থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের অধীন বাসন্তী হাইওয়ের ১৭ কিলোমিটার রাস্তা। ওই রাস্তা তৈরির পর থেকেই তা দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। এক সময়ে বাসন্তী হাইওয়ের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলির প্রতি নজর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছিল। বর্তমানে যার বেশির ভাগ খারাপ হয়ে ফের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে রাস্তা। ওই পথে এমন অনেক তীক্ষ্ণ বাঁক রয়েছে, অন্ধকার হয়ে থাকায় সেখানে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকেই। এক পুলিশকর্তা জানান, রাস্তায় আলো যাতে জ্বলে সেই বিষয়টি দেখতে বলেছেন কমিশনার। পাশাপাশি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বাকি রাস্তা কী অবস্থায় আছে, সে সব নিয়ে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা রিপোর্ট আকারে লালবাজারে জমা দেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাস্তা দেখভাল করে রাজ্য পূর্ত দফতর। এই আলো না জ্বলা নিয়ে পুলিশ তাদের কাছে আগেই রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তবু এত দিনেও তা ঠিক হয়নি। তাই সিপি ওই দফতরের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের কথা বলতে বলেছেন।
এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তায় আলো না জ্বলার কারণ যেমন বাতি খারাপ হয়ে যাওয়া, তেমনই নজরদারির অভাবে আলো চুরি হয়েও যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হাইওয়েতে দুর্ঘটনা কমাতে চান কমিশনার। তাই কী কী ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা কমবে সেই বিষয় উল্লেখ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
কমিশনার হিসেবে কলকাতা পুলিশে যোগ দিয়ে তাঁর প্রথম মাসিক অপরাধ দমন বৈঠকে যোগ দিয়ে বাহিনীর নিচুতলার কর্মীদের থাকার জায়গা বা ব্যারাক যাতে ঠিকঠাক ও পরিষ্কার থাকে সে দিকে নজর দিতে বলেছিলেন সৌমেনবাবু। বুধবার কলকাতা পুলিশের পূর্ব ডিভিশনের বিভিন্ন থানায় গিয়ে ওই ব্যারাক-ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন কমিশনার। ওই রাতে তিনি আনন্দপুর, পূর্ব যাদবপুর-সহ ওই ডিভিশনের বিভিন্ন থানায় যান। থানার বিল্ডিং দেখার সঙ্গেই ব্যারাক যাতে পরিষ্কার থাকে তাও খতিয়ে দেখেন। থানাগুলি সরেজমিনে দেখার আগে পূর্ব ডিভিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিপি। সেখানে অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি নির্দেশ দেন।
এক পুলিশ অফিসার জানান, নতুন কমিশনার দায়িত্ব নিয়েই বাহিনীর ভাল-মন্দ সব কিছুর খোঁজ রাখছেন। এটাই ভোটের আগে কাজ করতে উৎসাহিত করবে বলে মত লালবাজারের।