আদিগঙ্গা।
দখলদারদের পুনর্বাসনে সময় লাগবে। অতএব তার উপরে নির্ভর না করে নিকাশির পাইপলাইন বসানো ও বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করুক ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি)। মঙ্গলবার আদিগঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সেই সঙ্গে এই দুই কাজে কলকাতা পুরসভাকেও গতি আনতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এনএমসিজি আদিগঙ্গা দূষণ কমাতে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করতে অস্বীকার করেছে বলে রাজ্য সরকার পরিবেশ আদালতে জানিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালতের কাছে এনএমসিজি হলফনামা দিয়ে জানায়, বরাদ্দ টাকা দেওয়ার বিষয়টি যেহেতু প্রকল্পের গতির সঙ্গে জড়িত, সেটাই শুধু সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, যেখানে নিকাশি পাইপলাইন ও বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে দখলদার নেই। তাই তার উপরে নির্ভর না করে এনএমসিজি-কে আদিগঙ্গা দূষণ রুখতে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করতে বলেছে আদালত।
ওই মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, আদিগঙ্গার উপরে মেট্রো রেলের স্তম্ভগুলি থাকায় তা পরিষ্কারে অসুবিধা হচ্ছে। কী ভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়, তার পথ খুঁজতে মেট্রো রেলের সঙ্গে কলকাতা পুরসভাকে আলোচনায় বসার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আদিগঙ্গা ছাড়াও এ দিন কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল। ধাপার জঞ্জালে আগুন জ্বালানো বন্ধ করা থেকে ১৫ বছরের গাড়ি বাতিলের ক্ষেত্রে কী কী পরিকল্পনা হয়েছে, তা বিস্তারিত ভাবে জানানোর জন্য রাজ্য সরকারকে কিছুটা সময় দিয়েছে আদালত। মামলার আবেদনকারী সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘আগামী ৬ জুলাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে জমা দিতে বলেছে পরিবেশ আদালত।’’