প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে কলকাতায় সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুয়াযী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতার সংক্রমণের হার (পজিটিভিটি রেট) ২৯.০৭ শতাংশ। সংক্রমণ থেকে বাদ পড়ছেন না শহরের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও। কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত তো কোনও সরকারি হাসপাতালে ৬১ জন।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা মসৃণ ভাবে চালানো যায় তা নিয়ে চিন্তিত সরকারি আধিকারিকদের একাংশ। সোমবার মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকেও উঠে আসে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালের হস্টেলেও নিভৃতবাসে থাকছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
একের পর এক চিকিৎসক, নার্স করোনা আক্রান্ত হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাতে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা করে স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে কাজের সময় বাড়িয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান এক বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিক। এর বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষে শুভাশিস দত্ত জানান, ‘‘চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তিনটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য, যাতে এক সঙ্গে সকলকে নিভৃতবাসে না যেতে হয়।’’