নেই পিপিই, ঝুঁকি নিয়ে কাজ দমকলকর্মীদের

সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের দশটি জেলা রেড জ়োনের মধ্যে পড়ছে। অথচ ওই সমস্ত জেলার প্রতিটি দমকল কেন্দ্রে পিপিই এসেছে গড়ে চার-পাঁচটি।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা মোকাবিলায় পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে কাজ করছেন দমকলকর্মীরাও। করোনা সংক্রমিত এলাকার বাড়ি, আবাসন থেকে শুরু করে হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছেন তাঁরা। সেই কাজের সময়ে দমকল কর্মীদের পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) পরতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছেন দমকলের ডিজি জগমোহন। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের ১৪৬টি দমকল কেন্দ্রের অধিকাংশের কাছেই এখনও পিপিই পৌঁছয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের।

Advertisement

সংক্রমণের নিরিখে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের দশটি জেলা রেড জ়োনের মধ্যে পড়ছে। অথচ ওই সমস্ত জেলার প্রতিটি দমকল কেন্দ্রে পিপিই এসেছে গড়ে চার-পাঁচটি। দক্ষিণ কলকাতার এক দমকল স্টেশনের এক আধিকারিকের অভিযোগ, ‘‘সংক্রমিত এলাকার হাসপাতাল, বাড়ি স্যানিটাইজ় করার সময়ে পাঁচ-ছ’জন কর্মীর দরকার হয়। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত পিপিই আসেনি।’’ পিপিই না থাকায় সম্প্রতি বারুইপুরের হাসপাতালে মুখে গামছা বেঁধেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে দমকলকর্মীদের।

দমকল দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে ১৪৬টি দমকল কেন্দ্রে কর্মী সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’হাজার। গত ১৭ এপ্রিল দমকলের ডিজি নির্দেশ জারি করে প্রতিটি দমকল কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পিপিই মজুত রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন দমকল কেন্দ্র মিলিয়ে মাত্র ৭০০টি পিপিই এসেছে। উত্তর কলকাতার একটি দমকল স্টেশনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নিয়মমাফিক পিপিই এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হয়। আমাদের কেন্দ্রে মাত্র চারটি পিপিই পাঠানো হয়েছিল। তা ব্যবহার হয়ে যাওয়ায় এখন পিপিই ছাড়াই জীবাণুমুক্ত করতে যেতে হচ্ছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: এনআরএস হাসপাতালে একসঙ্গে ৮ রোগী করোনায় সংক্রমিত

আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা, দেশে মৃত্যু বেড়ে ১২২৩​

দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা ছাড়া দূরবর্তী জেলাগুলিতে (উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গা ছাড়াও মুর্শিদাবাদ, আসানসোল) এখনও পিপিই-ই পৌঁছয়নি। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন দমকল স্টেশনে এখনও পর্যন্ত ৭০০টি পিপিই দেওয়া হয়েছে। আরও দু’হাজার পিপিই শীঘ্রই রাজ্যের সমস্ত দমকল স্টেশনে পৌঁছে যাবে।’’ ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, দমকলের সদর দফতর থেকে গাড়িতে করে দূরবর্তী জেলাগুলিতে পিপিই এবং তার সঙ্গে ফিনাইল এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি শীঘ্রই পাঠানো হবে। দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘রাজ্যের সব দমকল স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই যাতে শীঘ্র পৌঁছয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement