প্রতীকী ছবি।
লকডাউন না মেনে রাস্তায় ভিড় জমিয়েছিলেন লোকজন। সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা ও তাঁর ভাই। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার ৭ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে পুরাতন থানা এলাকায়। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস সর্দার দলীয় কার্যালয় থেকে অটো ও টোটোচালকদের চাল-ডাল বিতরণ করছিলেন। সেই কারণে ওই এলাকায় প্রচুর অটো ও টোটোচালক ভিড় জমিয়েছিলেন। সেই সময়ে ওই মহিলা জল নিতে রাস্তায় বেরোন। তখনই তিনি দেখেন, রাস্তায় প্রচুর মানুষের জমায়েত। নিজের মোবাইলে ওই দৃশ্যের ভিডিয়ো তুলে তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লেখেন, সরকার বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং লকডাউন মেনে চলতে বলছে। অথচ, সেই নির্দেশ অনেকেই মানছেন না।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে বেশ কয়েক জন মহিলার উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁরা বলতে থাকেন, কেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিড়ের ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েক জন অটো ও টোটোচালকের বচসা বেধে যায়। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁদেরই কয়েক জন মহিলাকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর যৌন নিগ্রহও করেন। এই ঘটনার মধ্যেই দিদিকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর ভাই। তাঁকেও বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মাথায় দু’টি সেলাই পড়ে।
মহিলা বলেন, ‘‘কোনও নিয়ম না-মেনেই রাস্তায় ভিড় করেছিলেন লোকজন। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ করেছিলাম। তখনই কয়েক জন আমার উপরে চড়াও হয়ে মারধর ও যৌন নিগ্রহ করে।’’
বিভাসবাবু বলেন, ‘‘এখানে আদৌ তেমন ভিড় হয়নি। কয়েক জন অটো ও টোটোচালক এসেছিলেন। তাঁদের চাল-ডাল দেওয়া হচ্ছিল। ওই মহিলা উল্টে অটোচালকদের ছবি তুলে হুমকি দিচ্ছিলেন দেখে নেওয়ার। তা নিয়ে কয়েক জন প্রতিবাদ করেন। ওই মহিলাই উল্টে এক অটোচালককে চড় মারেন।’’