সুরক্ষায় থাকছে এমনই ‘ফেস শিল্ড’। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষিত রাখতে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ১৭৫টি ‘ফেস শিল্ড’ দিলেন সরকারি চিকিৎসক মাখনলাল সাহা।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমের ওই শল্য চিকিৎসক জানান, এখন যে পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) দেওয়া হচ্ছে, তাতে মাথার টুপির সঙ্গে চশমা রয়েছে। কিন্তু মুখের কিছুটা অংশ অনাবৃত থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অন্য দেশে চিকিৎসকেরা যে পিপিই পরছেন তাতে ফেস শিল্ড রয়েছে। এখানে ওই শিল্ড মিলছে না। ফলে অক্সিজেনের নল লাগানো বা ট্রাকিয়োস্টোমি করার সময়ে রোগী হাঁচলে চিকিৎসকের সমস্যা হতে পারে।’’ এই পরিস্থিতিতে একটি হেলমেট প্রস্তুতকারক সংস্থা এ ধরনের ফেস শিল্ড তৈরি করছে বলে জানতে পারেন মাখনলালবাবু। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসকেএমের শিশু শল্য চিকিৎসক ঋষভ দেব মিত্র, বাগবাজারের একটি নার্সিংহোম এবং আত্মীয়দের সহায়তায় ফেস শিল্ড কেনেন তিনি। এ দিন এম আর বাঙুরের সুপার শিশির নস্করের উপস্থিতিতে সেগুলি চিকিৎসকদের দেওয়া হয়। মাখনলালবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোই আসল উদ্দেশ্য। আরও অনেকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন। সেটাই বড় প্রাপ্তি।’’
পিপিই-র গুণমান নিয়ে বহু দিন ধরেই চিকিৎসকদের মধ্যে চর্চা চলছে। বুধবারও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি সং্গঠন এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এন আর এস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার প্রেক্ষিতে সেই পোস্ট গুরুত্ব পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন সংক্রমণ ৮২৬ জনের, আক্রান্ত বেড়ে ১২৭৫৯, মৃত ৪২০
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ৭ থেকে বেড়ে হল ১০, সক্রিয় রোগী ১৪৪
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)