প্রয়োজনের সময় চালু হল না মেডিক্যালের জেনারেটর। ফাইল চিত্র।
আপাৎকালীন পরিস্থিতির কথা ভেবেই বিকল্প বিদ্যুতের জন্য কেনা হয়েছিল শক্তিশালী জেনারেটর। কিন্তু প্রয়োজনের সময় সেই জেনারেটর চালু হল না। প্রায় দেড়ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের একটা বড় অংশ। যেখানে চিকিৎসাধীন অন্তত দেড়শো জন রোগী। তাঁদের অনেকেই ছিলেন সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট)-এ। দেড় ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ এলেও অজানা রয়ে গেল কেন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অচল হয়ে রইল জেনারেটর!
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ হঠাৎই বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় গ্রিন বিল্ডিং, ইডেন বিল্ডিং-সহ একটা বড় অংশে। গ্রিন বিল্ডিং-এ চিকিৎসাধীন কোভিড আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রোগীরা। হাসপাতালের যে বিকল্প বিদ্যুতের লাইন থাকে, সেখান থেকেও বিদ্যুৎ চালু করা যায়নি ওই ভবনগুলোতে।
এ রকম আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি শক্তিশালী শব্দহীন জেনারেটর কিনেছিল সম্প্রতি। মেডিক্যাল কলেজের এক কর্তার কথায়, বিদ্যুৎ ছাড়া যে সমস্ত রোগীদের প্রাণ সংশয় হতে পারে তাঁদের রক্ষা করা এবং অস্ত্রোপচারের মত কাজ আটকে না যায়, সে জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘লুকিয়ে পড়বেন না মিঃ প্রেসিডেন্ট’! সুযোগ পেয়েই ট্রাম্পকে খোঁচা চিনের
মেডিক্যাল কলেজের কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, গ্রিন বিল্ডিং বিদ্যুৎহীন হয়ে যাওয়ার পরই সেই জেনারেটর চালু করতে যাওয়া হয়। কিন্তু শত চেষ্টাতেও তা চালু করা যায়নি। ফলে অন্ধকার হয়েই থাকে গ্রিন বিল্ডিং এবং বাকি একাধিক ভবন। জুন মাসের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয় রোগীদের। সিসিইউ-র মতো সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরগুলির অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: প্রথমবার বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশে দুই নভশ্চর, সঙ্গে গেল এক ডাইনোসর
প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে পাঁচটা নাগাদ বিদ্যুৎ আসে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন মেডিক্যাল কলেজের কর্তারাও। কিন্তু কেন জেনারেটর চালু হল না তা রহস্যই থেকে গেল দিনভর।