প্রতীকী ছবি
কোভিড পজ়িটিভ আরও এক পুলিশ আধিকারিক। গার্ডেনরিচ, প্রগতি ময়দানের পরে এ বার বৌবাজার। এই তিনটি থানার আধিকারিকদের নিয়ে কলকাতা পুলিশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা হল সাত। জোড়াবাগান থানার দুই অফিসার, জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট, বড়তলা থানার কনস্টেবলও রয়েছেন আক্রান্তের তালিকায়। বুধবার লালবাজার স্বীকার করেছে ওই আধিকারিকের করোনা পজ়িটিভ হওয়ার বিষয়টি।
লালবাজার সূত্রের খবর, তিন দিন আগে তাঁর জ্বর আর অল্প কাশি দেখা দেয়। মঙ্গলবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বুধবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় তাঁকে এ দিন সকালেই বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই আধিকারিক গত এক মাস ধরে বাড়ি যাননি। থানার উপরেই থাকতেন। ফলে বাড়ির কোনও সদস্য তাঁর সংস্পর্শে আসেননি বলেই জানা গিয়েছে।
তাঁর গাড়িচালক এবং দেহরক্ষীকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েক দিনে ওই আধিকারিক কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে থানার কত জনকে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে এবং কত জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে।
এ দিন সকালে তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট জানার পরেই থানা জীবাণুমুক্ত করা শুরু হয়। এ দিকে, চিকিৎসাধীন দুই থানার আধিকারিক এখন অনেকটাই আগের থেকে সুস্থ বলে জানিয়েছে লালবাজার। আগের থেকে ভাল আছেন জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট। তবে প্রগতি ময়দান থানার আক্রান্ত আধিকারিকের সংস্পর্শে থাকা যাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, বুধবারও তাঁদের রিপোর্ট আসেনি।
এ দিন নির্দিষ্ট করে কোনও কর্মী বা আধিকারিকের নাম না নিলেও পুলিশকর্মীদের কাজের প্রশংসা শোনা যায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যের বিপুল জনঘনত্বের কথা অনেকেই ভুলে যাচ্ছি। কলকাতার বিপুল জনঘনত্ব আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। তা সত্ত্বেও সকলে অতিমারির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি। শৃঙ্খলাপূর্ণ ভাবে লকডাউন মানা হচ্ছে। পুলিশকর্মীরা অসুস্থ হচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন। তবুও পুলিশকর্মীরা যে ভাবে সর্বত্র শৃঙ্খলা কার্যকর করছেন, তা উল্লেখ করার মতো।’’