—প্রতীকী ছবি।
ফের কোভিড টেস্টের নামে প্রতারণা। পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ এই ঘটনায় চক গড়িয়ার এক যুবককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে হাজারখানেক মানুযের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। সরকার নির্ধারিত কোভিড টেস্টের রেটের থেকে বেশি টাকা নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রিপোর্টও দেননি। ক’দিন আগেই নেতাজি নগরের তিন যুবককে একই রকম প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে প্রথম অভিযোগ জানান ওই প্রতারণার বিষয়ে। অভিযোগ করা হয় হাসপাতালের কর্মী সেজে কোনও প্রতারক বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড টেস্টের নামে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছে। রাজ্য সরকার নির্ধারিত টাকার থেকে অনেক বেশি টাকা নিচ্ছে কোভিড পরীক্ষার জন্য। তার পর টেস্টের কোনও রিপোর্টও দিচ্ছে না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সৌমিত্র চৌধুরী নামে চকগড়িয়ার এক বাসিন্দাকে আটক করে। বিভিন্ন হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপেও দেখা যায়, ওই ব্যক্তি নিজেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন। আটক সৌমিত্রকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত আগে ওই বেসরকারি হাসপাতালেরই প্যাথোলজিকাল ল্যাবে চাকরি করতেন। তিন বছর আগে সেই চাকরি ছেড়ে তিনি স্ত্রী-র নামে একটি প্যাথোলজিকাল ল্যাব তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: তারাপীঠ থেকে কালীঘাট, অনলাইনে পুজোর নামে প্রতারণার নয়া ফাঁদ
সম্প্রতি তিনি নিজেকে হাসপাতালের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পিপিই পরে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতেন। প্রতি পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে নিতেন। দাবি করতেন, বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছেন, যাঁরা ওই ব্যক্তির মাধ্যমে কোভিড টেস্ট করিয়েছিলেন, তাঁদেরই কয়েক জন রিপোর্ট না পেয়ে ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই জানা যায় প্রতারণার কথা। এ দিন ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।