প্রতীকী ছবি।
করোনার সংক্রমণ রুখতে এখন ব্যস্ত বিধাননগর পুরসভা। অন্য সমস্ত কাজ তাই আপাতত স্থগিত রয়েছে। মশা মারতে বছরভর যে অভিযান চলে, তা-ও গতিরুদ্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় আবার ডেঙ্গি ছড়াবে না তো? বাসিন্দাদের অনেকেই ভুগছেন এই আশঙ্কায়।
তবে পুরকর্তাদের দাবি, উপনগরীকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করতে গিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হচ্ছে। করোনার পাশাপাশি মশার উপদ্রবও কমবে। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনের পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে বাসিন্দারা যে সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন, তা অব্যাহত থাকলে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সহজ হবে।
মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ডেঙ্গির প্রকোপে প্রায় প্রতি বছরই বিধাননগর বিপর্যস্ত হয়। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এ বার সেই আতঙ্কের সঙ্গেই রয়েছে করোনার ভয়। এ বছরের গোড়ার দিকে মশা মারার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনা-আতঙ্কে আপাতত সেই কাজ গতি হারিয়েছে।
এতেই আশঙ্কিত বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, অন্য বছর এই সময়ে প্রচার, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ-সহ মশা নিয়ন্ত্রণের নানা কাজ হয়। এখন লকডাউনে তার সুযোগ নেই। ফলে মশার প্রকোপ বাড়লে বড় বিপদ হতে পারে। কেষ্টপুরের বাসিন্দা দিলীপ সরকারের কথায়, ‘‘বিধাননগরে দত্তাবাদ, সংযুক্ত এলাকা, ঘিঞ্জি বসতি এলাকা, খালপাড় ও ভেড়ি এলাকা রয়েছে। সকলেই বাড়িতে থাকায় বাড়ছে জলের ব্যবহার। বহু জায়গায় জল জমে থাকায় জন্মাচ্ছে মশা।’’ সল্টলেকের জিডি ব্লকের আবাসিকদের সংগঠনের কর্মকর্তা কুমারশঙ্কর সাধুর কথায়, ‘‘এখন প্রশাসন করোনা ঠেকাতে ব্যস্ত। বাসিন্দা হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করলে ডেঙ্গিকেও রোখা যাবে।’’ মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘যে ভাবে শহরকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে, তাতে একই সঙ্গে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজও সম্ভব হবে।’’ বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদনও করেন তিনি। তবে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ের কথায়, ‘‘এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহে সমস্যা হচ্ছে। তবে করোনা ঠেকাতে যে ভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজটাও সহজ হয়ে যাচ্ছে।’’