আপত্তি: বুধবার গড়িয়াহাটে একটি অটোয় সওয়ার চার জন। অটোয় এমন ভিড় চাইছেন না যাত্রী এবং চালকেরা। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
পরিবহণ ব্যবস্থাকে ‘স্বাভাবিক’ করার লক্ষ্যে অটোয় চার জন যাত্রী নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু শহরের অধিকাংশ অটোচালক এখনও দু’জনের বেশি যাত্রী তুলছেন না। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, চার জন যাত্রী তোলা হলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই আপাতত দু’জন যাত্রীই নিতে চান তাঁরা। ভাড়া বেশি গুনতে হলেও যাত্রীদের অধিকাংশেরও এটাই মত। অটোচালকেরা অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন, বহু জায়গায় স্থানীয় থানা চার জন যাত্রী তোলার অনুমতি দেয়নি। দু’জন যাত্রী নেওয়ার সেটাও একটি কারণ। বুধবার বেশির ভাগ অটোই দু’জন যাত্রী নিয়ে চলেছে।
দমদম-নাগেরবাজার রুটের অটোচালক অভিজিৎ ঘোষ জানান, মেট্রো এবং ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রী বেশি হচ্ছে না। তাঁরাও দু’জনের বেশি যাত্রী অটোয় তুলছেন না। অটো ইউনিয়ন বা স্থানীয় থানার তরফে চার জন যাত্রী নেওয়ার ব্যাপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি তাঁরা পাননি। একই কথা জানালেন শোভাবাজার-উল্টোডাঙা রুটের চালকেরাও। ওই রুটেও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। যদিও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘সমস্ত গণপরিবহণের ক্ষেত্রেই আসন-সংখ্যা অনুযায়ী যাত্রী নিতে হবে। অটোর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।’’
মধ্য কলকাতার শিয়ালদহ-বেলেঘাটা বা দক্ষিণ কলকাতার হাজরা-গড়িয়াহাটের মতো কিছু রুটে অবশ্য তিন বা চার জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ওই সব রুটের অটোচালকেরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় প্রশাসন থেকে চার জন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি মিলেছে। তবে যাত্রীদের অনেকেই বেশি ভাড়া দিয়ে দু’জন করে যেতে চাইছেন। গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের এক চালকের কথায়, ‘‘আমরাও চাই আপাতত দু’জন বা তিন জন উঠুন। আমাদেরও ভয় করছে।’’
ওই রুটের এক চালককে আবার দেখা গেল, অটো ছাড়ার আগে প্রত্যেক যাত্রীর হাতে স্যানিটাইজ়ার দিলেন। হাজরার এক অটোচালক আবার জানিয়ে দিলেন, যাত্রীরা মাস্ক না-পরলে তাঁর অটোয় উঠতে পারবেন না।