প্রতীকী ছবি
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত নার্সের সূত্র ধরেই এ বার আতঙ্ক ছড়াল দমকল বাহিনীতে।
ওই হাসপাতালে কর্তব্যরত তিন নার্সের করোনা ধরা পড়েছে মঙ্গলবার দুপুরে। তাঁদেরই এক জনের স্বামী দমকলের মানিকতলা কেন্দ্রের কর্মী। ওই দিন এই খবর জানাজানি হতেই আতঙ্কে বেশির ভাগ কর্মী দমকল কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। পরে দমকলের শীর্ষ কর্তারা মানিকতলা কেন্দ্রে পৌঁছন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বুধবার জানিয়েছেন, মানিকতলা দমকল কেন্দ্রের ৩২ জন কর্মীকে ১৪ দিনের গৃহ পর্যবেক্ষণে (হোম কোয়রান্টিনে) পাঠানো হয়েছে।
দমকল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমে ঠিক হয়, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দমকল কেন্দ্র থেকে মানিকতলায় কর্মী এনে ঘাটতি পূরণ করা হবে। পরে উত্তর কলকাতা ডিভিশনের অন্য দমকল কেন্দ্র থেকে কুড়ি জন কর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়। বর্তমানে মানিকতলা কেন্দ্রে কর্মী ষাট জনের বেশি। তাঁদের অনেকেই এখন আতঙ্কিত। এ দিন এক কর্মী বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত নার্সের স্বামী আমাদের অনেকেরই পরোক্ষ ভাবে হলেও সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেই কর্মীদের কেউ কেউ এখনও অফিস করছেন।’’ অন্য এক কর্মীর কথায়, ‘‘খবরটা শোনার পর থেকে তো কেন্দ্রে ঢুকতেই ভয় হচ্ছে। কোনও কিছু স্পর্শ করলেই মনে হচ্ছে, আমিও করোনা আক্রান্ত হয়ে যাব না তো!’’
তবে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর আশ্বাস, ‘‘মঙ্গলবার ওই খবর সামনে আসতেই পুরো মানিকতলা দমকল কেন্দ্র জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনার পরেই ৩২ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছ। কেন্দ্রের বাকি কর্মীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। একই কথা বলেন দমকলের আধিকারিক অভিজিৎ পাণ্ডে। তাঁর কথায়, ‘‘মানিকতলা কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মীরা আতঙ্কিত হবেন না। আক্রান্ত মহিলার স্বামী যে কর্মীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে তাঁদের ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘করোনা-আতঙ্কে মরসুমি ডেঙ্গিকে ভুললে বিপদ’