সিঁদুরে মেঘ: ভিড়ে মাস্ক পরে নেই প্রায় কেউই। সোমবার বিকেলে, নিউ মার্কেটে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড। তবু বেহুঁশ নাগরিকেরা! আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকেরা।
সোমবার শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেল, ন্যূনতম কোভিড-বিধি মেনে চলার বালাই নেই অনেকেরই। নিউ মার্কেট, কোলে মার্কেট, গড়িয়াহাট বাজার থেকে শুরু করে কলেজ স্ট্রিট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার— মাস্কহীন ছবিটা সর্বত্র একই। তাই চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন, শহরে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নাগরিকদের একাংশ যে ভাবে মাস্ক বাদ দিয়ে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে বিপদ আরও বাড়বে। যদিও মুখে মাস্ক পরা নিয়ে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত তেমন কঠোর মনোভাব না নেওয়ায় কিছুটা হতাশই হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, প্রশাসন কড়াকড়ি শুরু না করলে মাস্ক পরতে আগ্রহ দেখাবেন না নাগরিকদের একটা বড় অংশই।
এত দিন দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যায় কম-বেশি হচ্ছিল। কিন্তু শনি ও রবিবার শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একই থেকেছে— ২৪৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় শনিবারের তুলনায় রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। শনিবার সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৪, যা রবিবার বেড়ে হয়েছে ১৫৯। বিশেষত, সল্টলেক এলাকায় কোভিডের দাপট বেড়েছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, দক্ষিণের তুলনায় উত্তর কলকাতায় সংক্রমণ কম থাকলেও গত দু’দিনে তা বেড়েছে। তবে দক্ষিণ কলকাতার অন্তর্গত ৭ থেকে ১১ নম্বর বরো এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। ৭ নম্বর বরো এলাকার ট্যাংরা, শেক্সপিয়র সরণি, ৮ নম্বর বরো এলাকার ভবানীপুর, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ এলাকা ছাড়াও ১০ নম্বর বরো এলাকার গল্ফ গ্রিন, নেতাজিনগর, লেক এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরসভার কাছে।
পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের বেশির ভাগই উপসর্গহীন। পুরসভার তরফে নিয়মিত টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে আক্রান্তদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, ‘‘নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করছি। মাস্ক পরতে হবে। পুরসভার তরফে মাস্ক পরার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।’’