সংঘর্ষের জেরে জ্বলছে বাইক। বৃহস্পতিবার রাতে। নিজস্ব চিত্র
পাঁচ দিনের মাথায় ফের সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হল নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকা। এমনটাই অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনাকে ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সেই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে দুই দলের চাপানউতোর। এলাকায় পুলিশি টহলদারি রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে যাত্রাগাছিতে।
বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের চার-পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তেরা সকলেই বিজেপির কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের। তবে মূল অভিযুক্তেরা ধরা পড়েনি বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
নিউ টাউনে তৃণমূল নেতা আফতাবউদ্দিনের অভিযোগ, ‘‘বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ঘটনার আগের দিন যাত্রাগাছিতে গিয়ে একটি সভায় উত্তেজক বক্তব্য রাখেন। তাতে উৎসাহিত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাপাদাপি শুরু করেছিল বিজেপির কর্মীরা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওই এলাকায় দু’টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করেন স্থানীয় যুবকেরা। তাঁরা এক সময়ে বিধায়কের সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যাননি। বিজেপির এক দল সেখানে মালপত্র সরবরাহ করবে বলে অশান্তি করে।’’
তৃণমূলেরই অভিযোগ, রাতে দশটা নাগাদ একটি নির্মীয়মাণ প্রকল্প এলাকায় কয়েক জন তৃণমূলকর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকা জনা ৩০-৪০ জন যুবক এসে জড়ো হন ওই প্রকল্প এলাকায়। তাদের মধ্যে অনেকে বহিরাগত। এলাকাবাসীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাঁদের ঘিরে ফেলতে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসীরা কিছুটা ছত্রভঙ্গ হতে কয়েক জনকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন বিজেপির কর্মীরা।
বিজেপির তরফে অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানানো হয়, ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের অভ্যন্তরীন গোলমালের খবর গোপন করতে বিজেপির ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘যার তার কথার জবাব দেব না। ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নয়। কেন পরপর দু’টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল প্রশাসন তা খতিয়ে দেখুক।’’
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা সকলেই বিজেপির কর্মী।