প্রতীকী ছবি।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থামাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক যুবক। তিনি ময়দান থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে হেস্টিংস মাজারের কাছে একদল যুবকের হাতে আক্রান্ত হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম ইরশাদ হোসেন ওরফে মহম্মদ সানি। বয়স ৩৬। বাড়ি একবালপুর থানা এলাকায়। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ঘোড়ার ব্যবসাও ছিল তাঁর। গতকাল থানায় ডিউটি ছিল না। কিন্তু ঘোড়াকে খাবার দিতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
কিন্তু তার পর অনেকক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজ নিতে গেলে, দু’দলের মধ্যে হাতাহাতিতে আঘাত পেয়ে ইরশাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারেন তাঁর বাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে নাম, অথচ কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা অমিল!
এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গতকাল রাতে মাঠে বসা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাধে। সেইসময় একটি দলের হয়ে বিষয়টি মিটমাট করতে যান ইরশাদ। কিন্তু অন্য দলের যুবকরা তাঁর উপর চড়াও হন। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেইসময় পিছন থেকে ইরশাদের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন এক যুবক।
সেইসময় ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসেন আশোপাশের লোকজন। ইটের আঘাতে যদিও রক্তপাত ঘটেনি, কিন্তু আচমকা মাথায় আঘাত পেয়ে অসুস্থ বোধ করেন ইরশাদ। জানতে পেরে স্থানীয়রাই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান তড়িঘড়ি। কিন্তু হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যেতে যেতেই লুটিয়ে পড়েন ইরশাদ। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: জটিল অস্ত্রোপচার করে তরুণীকে বাঁচালেন ২ সরকারি ডাক্তার
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তিন জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর কারা এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।