ছবি সংগৃহীত।
গালিপিটে প্লাস্টিক ঢোকা আটকাতে সেগুলির ঢাকনার নকশা আগেই পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এ বার রাস্তার ম্যানহোলের নকশাও পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিলেন পুর কর্তৃপক্ষ।পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, নতুন নকশায় ম্যানহোলের উপরে সামান্য ফাঁক থাকবে। সেই ফাঁক দিয়ে নিকাশি নালার ভিতরে জমা হওয়া মিথেন-সহ বিভিন্ন দূষিত গ্যাস সহজেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবে। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, “বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ম্যানহোলের ঢাকনা তৈরি হয় তাতে নিকাশি নালার ভিতরে জমে থাকা গ্যাস বেরোতে পারে না। নালার ভিতরে গ্যাস জমতে জমতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা তাতে বাড়ে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ম্যানহোলের ঢাকনার নতুন নকশার প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই অনুমোদন করেছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ম্যানহোলের ঢাকনার এই ছিদ্র এমন মাপেরই করা হবে যাতে উপর দিয়ে হাঁটাচলা বা যানবাহন যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি না হয়। কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরই এই নতুন নকশা তৈরি করবে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে তপসিয়ার কাছে একটি নিকাশি নালায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়েছিল। এ ছাড়াও, বেশ কয়েক বছর আগে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালায় নেমে কাজ করার সময়ে বিষাক্ত গ্যাস নাকে গিয়ে পুরসভার কর্মীর মৃত্যুও ঘটেছিল। তার পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিকাশি নালায় কর্মী নামিয়ে কাজ করানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ কারণে নিকাশি নালায় সাফাইকর্মীদের নামাতে হলে সমস্ত রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে তবেই নামানোর নির্দেশ রয়েছে আদালতের। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বড় কয়েকটি ম্যানহোলের ঢাকনায় ছিদ্র রয়েছে। তবে ছোট ম্যানহোলগুলির ঢাকনায় তা নেই।