বিজেপি-র নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বুধবার এই মামলা রুজু করবেন। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই ঘটনা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপি মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে আদালতকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার অনুরোধ করেন। এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এই মামলা করার অনুমতি দিলেন। তবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দেন যে, এই মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হবে কি না তা এখনই বলা সম্ভব না। কিন্তু মামলা দায়ের করার বিষয়ে অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
বিজেপি-র নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বুধবার এই মামলা রুজু করবেন। বিজেপি-র তরফে এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হবে বলেও তরুণজ্যোতি জানিয়েছেন। তবে আইনজীবী হিসেবেই এই মামলা দায়ের করছেন বলেও তিনি জানান। তিনি আরও দাবি করেন, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যা হয়েছে। অথচ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন যে, শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ফলেই এই ঘটনা ঘটে। তাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং বিচারের দাবিও করেন তিনি। মামলাকারী আবেদনে আরও জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত, সোমবার তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যুর ঠিক পরের দিনই ফের অগ্নিগর্ভ রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। সোমবার বোমা হামলায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। এর পর সোমবার রাতেই বগটুই গ্রামের ১০টি বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দমকল ১০ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও পুলিশের দাবি মৃত্যু হয়েছে আট জনের। তবে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি প্রথমে জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী ভাবে এই আগুন লাগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। সিলিন্ডার ফেটে এই অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় ভাদুকে লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।