প্রতীকী ছবি।
জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা (অর্গ্যানিক) আনাজ এবং টাটকা মাছ-মাংস পৌঁছে যাবে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে। সল্টলেকে এই পরিষেবা দিতে দশটি বিশেষ গাড়ি চালু করছে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ বা ‘সিএডিসি’। আজ, বুধবার সিএ মার্কেটে ওই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিছু দিন পর থেকে আনাজ ও মাছ-মাংসের অর্ডার দেওয়া যাবে অনলাইনেও।
হুগলি, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় পর্ষদের মোট ২২টি খামার রয়েছে। সেখানে জৈব পদ্ধতিতে আনাজের চাষ হয়। পর্ষদের প্রশাসনিক সচিব সৌম্যজিৎ দাস বললেন, ‘‘গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা চাষের কাজে যুক্ত। তাঁদের তৈরি জৈব
আনাজ শহরে বিক্রি করা হবে। টাটকা আনাজ ন্যায্য মূল্যে পাবেন নাগরিকেরা।’’ পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সকলেরই এখন সময়ের অভাব। আমরা তাই মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে চাই। প্রাথমিক পর্যায়ে সল্টলেকে চালু হলেও শীঘ্রই গোটা শহরে ওই পরিষেবা শুরু হবে।’’ পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে আরও ৫০টি গাড়ি কলকাতায় আনাজ বিক্রি শুরু করবে।
জেলায় জেলায় পর্ষদের খামারে কড়কনাথ মুরগি, বাংলার কালো ছাগল বা ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট ও টার্কির চাষ হচ্ছে। পর্ষদের জলাশয়ে
মাছও চাষ হচ্ছে। পর্ষদের সচিবের কথায়, ‘‘গাড়িতে মুরগি, টার্কি, ছাগলের মাংসও থাকবে। রুই, কাতলা, মৃগেল, মাগুর, কইয়ের মতো মাছও মিলবে’’ পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানান, সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে প্রচুর স্বনির্ভর গোষ্ঠী
কাজ করছে। শহরে বিক্রি শুরু হলে এক দিকে ওই সমস্ত গোষ্ঠী যেমন উপকৃত হবে, তেমনই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা আনাজও সুলভে পাবেন নাগরিকেরা।