বিপজ্জনক বাড়ি থেকে ফ্রিজ বার করে নিয়ে যাচ্ছেন ঘরছাড়ারা। —নিজস্ব চিত্র।
সোমবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৫টি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার সাহায্য নিয়ে মোট কতগুলো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার একটি খসড়া তালিকা মেট্রো তৈরি করেছিল। তাতে আপাতত এই ৭৫টি পরিবারই চিহ্নিত হয়েছে।
তবে এটা প্রাথমিক তালিকা। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে মেট্রো। কারণ, এখনও প্রায় রোজই নতুন করে কোনও কোনও বাড়িতে ফাটল দেখা দিচ্ছে এবং রোজই কোনও না কোনও বাড়ি খালি করার নোটিস দিচ্ছে তারা। যেমন শুক্রবার সকালে নতুন করে হিদারাম ব্যান্যার্জী লেনে কয়েকটা বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও এই লেনের কয়েকটি বাড়ি খালি করার নোটিস দিয়েছে মেট্রো। ফলে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্তদের আরও একটি তালিকা তৈরি করবে মেট্রো।
মেট্রোর ক্ষতিপূরণ নিয়েও ঘরহারাদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, তাঁদের অনেকেরই ব্যাঙ্কের জরুরি নথি বাড়িতেই রয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জরুরি জিনিসপত্র বার করার জন্য পুলিশ দুর্গা পিতুরি লেন, সেকরাপাড়া লেন ও গৌর দে লেনের গলির মুখ আটকে কুপন দেওয়া শুরু করেছে। সকাল থেকে লাইন দিয়ে সেই কুপন সংগ্রহ করে প্রতিটা পরিবারের সদস্যেরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনীয় জিনিস বার করে আনছেন। পরিস্থিতি বুঝে খুব কম সময়ের জন্য বাড়ির ভিতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের অনেকেরই ব্যাঙ্কের সমস্ত কাগজপত্র বাড়ির ভিতরেই রয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কের নথি ছাড়া অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে তাঁরা পাবেন এই নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে ওই বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ‘নরম’ মাটি, ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিল কলকাতা পুরসভা
আরও পড়ুন: নীরবতা ভাঙলেন শোভন, নিশানায় মহুয়া-জয়প্রকাশ
তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, যাঁদের কাছে ব্যাঙ্কের পাশবই রয়েছে তাঁদের চেক-এ ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে আর যাঁদের কাছে পাশবই নেই, কোন ব্যাঙ্কের কোন শাখায় তাঁদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটা জেনে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্ককে অনুরোধ জানাবেন ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুঁজে বার করতে। সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে, জানিয়েছে মেট্রো।