আবার কলকাতায় রহস্যমৃত্যু। তিলজলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ২৫ বছরের এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পানশালায় কাজ করতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তরুণীর গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তরুণীর লিভ-ইন সঙ্গীকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন তরুণী। মৃতের নাম মিনা কোয়ার। তিলজলার ওই ফ্ল্যাটে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন তিনি। বুধবার পড়শিদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তার পর ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বোন বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তাঁর কাছে ফোন করেছিলেন তরুণীর প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী। তরুণীর বোন জানিয়েছেন, তাঁকে ফোন করে বলা হয়, তাঁর দিদি গলায় দড়ি দিয়েছেন। এর পর থেকে মৃতের প্রেমিকের ফোন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থাতেই পাওয়া গিয়েছিল। গলায় ছিল আঘাতের দাগ। তবে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তিলজলা থানার পুলিশ। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
দিদির লিভ-ইন সঙ্গীর ফোন পেয়ে প্রথমেই কলকাতায় দিদির প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মৃতের বোন। প্রতিবেশীরা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করে কারও সাড়া পাননি। তার পর ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ডাকেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। কী ভাবে এই মৃত্যু, যদি তা আত্মহত্যা হয়ে থাকে, তবে তার কারণ কী, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তরুণীর লিভ-ইন সঙ্গীই বা বোনকে ফোনে খবর দিয়ে কোথায় গেলেন, দেখা হচ্ছে। তাঁর খোজ চলছে।