Landslide in Kerala

এখনও নিখোঁজ প্রায় ২০০, মৃতদেহ উদ্ধার ১৫০-এর বেশি, ওয়েনাড়ের ধ্বংসস্তূপে প্রাণের খোঁজে উদ্ধারকারীরা

দুর্যোগ এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কারণে কেরলের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বন্ধ থাকবে সব স্কুল-কলেজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে বলে প্রশাসন সূত্র খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৩
Share:

ওয়েনাড়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।

কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়াল। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। কত জন আটকে রয়েছেন, কত জন নিখোঁজ তা স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ফলে উদ্ধারকাজে এই বৃষ্টি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫১ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

তবে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের উপর থেকে এখনই বিপদ কাটছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ওয়েনাড়ের উপর দিয়ে। কোথাও কোথাও সেই হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

দুর্যোগ এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কারণে কেরলের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বন্ধ থাকবে সব স্কুল-কলেজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে বলে সরকারি সূত্রে খবর। রাজ্যে দু’দিনের শোক পালনের ডাক দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। অন্য দিকে, ধসের কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। বেশির ভাগ জায়গায় রাস্তা ধসে গিয়েছে। ফলে পুলিশ-প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে। ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধারের কাজে। ভারী বৃষ্টি এবং প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে কেরলে। মনে করা হচ্ছে, এই বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার রাত ২টো থেকে ভোর ৪টের মধ্যে ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় পর পর ধস নেমেছে। আর তার জেরে প্রায় কাদায় মিশে গিয়েছে গোটা এলাকা। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাদামাটিতে চাপা পড়েছেন বাসিন্দারা।

একই দিনে মাত্র চার ঘণ্টায় পর পর তিন বার ধস নামায় ওয়েনাড়ের চেনা পাহাড়ি এলাকার ছবি নিমেষে পাল্টে গিয়েছে। এখন পাহাড়ি এলাকা শুধু কাদামাটি ঢাকা বধ্যভূমি। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই এলাকায় চলছে উদ্ধারকাজ। বাড়িঘর, দোকানের নীচে চাপা পড়ে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। নামানো হয়েছে সেনা।


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement