— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত। তার মাঝে পড়ে রয়েছে প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ। কালীপুজোর সকালে কলকাতার জোড়াবাগানে একটি বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রৌঢ়ের দেহ। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত প্রৌঢ়ের নাম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৮)। জোড়াবাগান সেন লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ এক বিমা সংস্থার কর্মী ছিলেন। একটি চারতলা বাড়ির একাংশ জুড়ে একাই থাকতেন তিনি। নীচের তলায় থাকতেন তাঁর দিদি। প্রতি দিন সকালে দিদির ঘর থেকে উপরে অভিজিৎকে চা দিতে যেতেন কেউ না কেউ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকেন মৃতের দিদি এবং প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। গোটা মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত। এর পরেই স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে গোয়েন্দা বিভাগের একটি দলও ঘটনাস্থলে আসে। পৌঁছন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘরের মেঝেতে চারদিকে পড়ে ছিল জমাট বাঁধা রক্ত। দেওয়ালেও মিলেছে রক্তের দাগ। তাই প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। তবে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, সে সব জানতে চলছে তদন্ত। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।