বান্ধবগড়ে হাতিমৃত্যু নিয়ে তদন্তের দাবি জয়রাম রমেশের। — ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানে আট হাতির ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্তের দাবি করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বান্ধবগড়ের জঙ্গল থেকে চার হাতির দেহ উদ্ধার হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও পাঁচটি হাতিকে। কিন্তু বুধবার সারা দিনে মৃত্যু হয় আরও চার হাতির। ফলে সব মিলিয়ে মৃত হাতির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় আটে। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে বন দফতর। এক সঙ্গে এতগুলি হাতির ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুতে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরাও। সেই আবহেই জয়রাম বলেন, ‘‘বান্ধবগড়ে এতগুলি হাতির মৃত্যুর ঘটনা অবাক করার মতো। এতে ওই উদ্যানে হাতির সংখ্যা একযোগে প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেল। ঘটনায় অবিলম্বে পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।’’ ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনিও।
মঙ্গলবার বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিটৌলি এলাকায় হাতিগুলিকে ওই অবস্থায় দেখতে পান বন দফতরের কর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বন দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার বিকেলে তাঁরা জঙ্গলে চারটি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের মধ্যে আরও চারটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, ওই ন’টি হাতি একই পালের। ওই পালে সব মিলিয়ে ১৩টি হাতি ছিল। এখনও পর্যন্ত বাকি হাতিগুলির খোঁজ পাওয়া যায়নি। বন দফতরের আধিকারিক বিজয় এন আম্বাদে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মনে করা হচ্ছে, বিষাক্ত কোনও খাদ্য থেকে এমনটা হতে পারে। তদন্ত চলছে। গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’ অজয় দুবে নামে বন দফতরের এক কর্মী জানাচ্ছেন, সম্ভবত, ওই হাতিগুলি বনের বাইরে কিছু খেয়েছিল। সেই থেকেই বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে। কিংবা অতিরিক্ত কীটনাশক দেওয়া ফসল খাওয়ার ফলেও হাতিগুলির মৃত্যু হতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখতে চলছে তদন্ত।