প্রতীকী ছবি।
রবীন্দ্র সরোবরের কাছে একটি ক্যাফের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল সেখানকারই এক কর্মীর মৃতদেহ। বুধবার দুপুরের এই ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃত যুবকের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ছুরিও। ওই কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন, না ঘটনাটি অন্য কিছু— তা নিয়ে রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি। রবীন্দ্র সরোবর থানার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজার।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম রোহিত অধিকারী (২৪)। কসবার ব্যানার্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রোহিতের পরিবারের দাবি, লকডাউনের আগে তিনি এবং তাঁর এক সঙ্গী একটি ক্যাফে খুলেছিলেন। কিন্তু লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে রবীন্দ্র সরোবরের ওই ক্যাফেতে কাজে যোগ দেন রোহিত। তাঁর বাবা প্রদীপ অধিকারী এ দিন বলেন, ‘‘এই ক্যাফেতেও বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল আনলক-পর্বে। তা নিয়ে ছেলে কিছুটা চিন্তায় ছিল। এ দিন ছেলের কয়েক জন সহকর্মীর থেকে শুনেছি, কোনও একটা ফোন এসেছিল। ফোনটি আসার পর থেকেই কেমন অশান্ত হয়ে পড়ে ছেলে। তার পরে কী হয়েছে জানি না।’’
পুলিশ জানায়, দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না পেয়ে এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রোহিতকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন সহকর্মীরা। এর পরে ক্যাফের শৌচাগার থেকে মেলে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করা হয়। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি আত্মহত্যাও হতে পারে। বৃহস্পতিবার মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’’ ক্যাফের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।