Soumitra Khan

অভিনেত্রীকে ‘যৌনকর্মী’ আখ্যা নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি, সৌমিত্রের মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন শমীক

রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না। দলের যিনি এমন কথা বলেছেন, তিনি ভুল করেছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:১২
Share:

সৌমিত্র খাঁ, সায়নি ও শমীক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র

Advertisement

বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-র মন্তব্য নিয়ে ‘অস্বস্তি’তে থাকা বিজেপি এ বার ক্ষমা চেয়ে নিল। গত বুধবার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে সৌমিত্র ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি ব্যবহার করেন। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ করেন সায়নীও। এর পর শুক্রবার রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না। দলের যিনি এমন কথা বলেছেন, তিনি ভুল করেছেন। এ জন্য যাঁদের অপমান করা হয়েছে, দলের পক্ষ থেকে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। একই সঙ্গে এই মন্তব্যের জন্য রাজ্যবাসীর কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ এটা বিজেপি-র ‘ভাষা’ নয় বলেও দাবি করেন শমীক।

বিজেপি-র পক্ষে ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন সায়নীয়ও। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যেটা করলেন, তাতে একটা জ‌িনিস প্রমাণিত হল। সেটা হল এই যে, ক্ষমা চাইলেই কেউ ছোট হয়ে যায় না। আজও এটা সত্যি।’’

Advertisement

সম্প্রতি সায়নীর সঙ্গে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিবাদ চলছিল। তারই মধ্যে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় টলি পাড়ার ‘বিরোধী কণ্ঠস্বর’-এর বিরুদ্ধে সরব হন সৌমিত্র। বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘দক্ষিণ কলকাতায় কিছু ফিল্ম আর্টিস্ট আছেন, যাঁরা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে স্যালারি পান। তাঁরা বলছেন, শিব মন্দিরে যে শিবলিঙ্গ থাকে তাতে কন্ডোম পরিয়ে শিব পুজো করা হোক। দেবী সরস্বতীকে যৌনকর্মী বলেছেন সায়নী ঘোষ। যারা শিবলিঙ্গকে বা মা মনসাকে অপমান করে, তারাই আসলে যৌনকর্মী।’

সৌমিত্র এই মন্তব্যের পর সমাজমাধ্যমে সরব হন সায়নী। পরে আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের বৃত্তিকে গালাগালির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার একটা নতুন প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। কেউ কেউ ভাবছে, ‘হিজড়ে’ বা ‘যৌনকর্মী’ বলে দিলে অপমান করা যায়। কিন্তু আমি সব পেশাকে সমান নজরে দেখি।’’ সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে সায়নী বলেন, ‘‘রাগে, শোকে ওঁর ভারসাম্য হারানোটাই স্বাভাবিক।’’

ইতিমধ্যেই সায়নী বনাম তথাগত বিবাদ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে সৌমিত্রর মন্তব্য ও সায়নীর প্রতিক্রিয়া জানার পরে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে রীতিমতো ‘অস্বস্তি’তে ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তা কাটাতেই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষমা চান শমীক। আর সেই ক্ষমা চাওয়ার পর বিজেপি আশা করছে, এই বিতর্ক এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তবে সায়নী আগেই জানিয়েছিলেন, সৌমিত্রর ‘যৌনকর্মী’ মন্তব্য নিয়ে তিনি কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে চান না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement