পড়ুয়া ঘিরে মারমুখীরা। — নিজস্ব চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বিজেপির একটি জনসভা থেকে সোমবার ভরসন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। দয়িতা মজুমদার নামে ইংরেজি বিভাগের ওই শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে গোলমালের সময়েও যাদবপুর ৮বি-র মোড়ে বিজেপি-সমর্থকদের বিরুদ্ধে কিছু ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। দয়িতাদেবীর অভিযোগ, এক দল মাঝবয়সি মহিলা এ দিন তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে যাদবপুরের দু’জন ছাত্রও মার খান। ওই শিক্ষিকা যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
দয়িতাদেবীর অভিযোগ, রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনসভা থেকে বিদ্বেষমূলক প্রচার চলছিল। অপপ্রচার চলছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদবপুরের বিষয়ে উল্টোপাল্টা কথা শুনে আমি হাসতে হাসতেই বলি, এ-সব মিথ্যে কেন রটাচ্ছেন! এতেই কয়েক জন মহিলা চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। এমন ঘটনা যে প্রকাশ্যে আমাদের চেনাজানা পরিসরে ঘটতে পারে— সেটাই চরম দুশ্চিন্তার।’’
আরও পড়ুন: ফের শাসানি দিলীপের, পড়লেন বিক্ষোভের মুখেও
‘‘রাজনৈতিক দলের দুর্বৃত্তদের এমন কাণ্ডের ঘোর নিন্দা করি,’’ এক বিবৃতিতে বলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়।
বিজেপি-র দু’জন সাংসদও এ দিনের সভায় ছিলেন বলে অভিযোগ। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘ঠিক কী ঘটেছে, জানি না। তবে আমাদের সভায় অন্য কেউ বিশৃঙ্খলা ঘটনোর চেষ্টা করলে তা আটকানো হবে। কিন্তু কাউকে মারধর সমর্থন করে না দল।’’