Bidhannagar Municipal Corporation

Bidhannagar: রাজারহাটকে গুরুত্ব দিতে ভাবনা? দ্বিতীয় ডেপুটি মেয়র পেতে পারে বিধাননগরও

সম্প্রতি মেয়র পারিষদদের শপথের অনুষ্ঠানে রাজারহাট-নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও উষ্মা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, বিধাননগর পুরসভার অধীনে হলেও সল্টলেকের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রাজারহাট।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ০৬:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

আসানসোলের পরে বিধাননগর কর্পোরেশনেও বাড়তে পারে ডেপুটি মেয়রের সংখ্যা।

Advertisement

বর্তমানে বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল। দ্বিতীয় ডেপুটি মেয়র পদ তৈরি হলে, ওই পদে রাজারহাট এলাকা থেকে কাউকে বসানো হতে পারে বলে খবর। সরকারি সূত্রের খবর, বঙ্গীয় পুর আইনের অধীনে বিধাননগর-সহ যে পাঁচটি পুরসভা রয়েছে, সব ক’টিতেই দু’জন করে ডেপুটি মেয়রের পদ তৈরি করতে চেয়ে আইনে সংশোধনী আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। মন্ত্রিসভায় ইতিমধ্যে প্রস্তাবও পাশ হয়ে গিয়েছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আসানসোল পুরসভায় দু’জন ডেপুটি মেয়র শপথ নিয়েছেন। সরকারি সূত্রের খবর, সেখানে যে দু’জন ডেপুটি মেয়র হবেন, তা তৃণমূলের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই পুর আইনে সংশোধনী এনে সেখানে দ্বিতীয় ডেপুটি মেয়র পদটি আইনসিদ্ধ করতে তৎপর সরকার। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘আসানসোলের বিষয়টি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বিধাননগর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।’’ অবশ্য দলীয় সূত্রের খবর, এক বার আইন তৈরি হয়ে গেলে অন্য পুরসভাগুলিতেও দ্বিতীয় ডেপুটি মেয়রের পদের একাধিক দাবিদার তৈরি হয়ে যেতে পারে। তেমনটা হলে স্থানীয় সাংগঠনিক পর্যায়ে টানাপড়েন শুরু হতে পারে। তাই অন্যত্র দ্বিতীয় ডেপুটি মেয়র নিযুক্তির ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্ব ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করতে চাইছেন বলেও খবর।

Advertisement

বিধাননগরের রাজনৈতিক মহলের খবর, পুর নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই ডেপুটি মেয়রের পদে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার এক তরুণ নেতাকে বসানো হতে পারে বলে জোর গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। পরে দলীয় নেতৃত্ব অনিতার নাম ডেপুটি মেয়র পদের জন্য ঘোষণা করেন। এর পরেই রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের একাংশের তরফে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। খবর পৌঁছয় দলের উপরমহলেও।

২০১৫ সালে বিধাননগর পুরসভা (কর্পোরেশন) তৈরির সময়ে বিধাননগরের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভাকেও। পরে এলাকা সমন্বয়ের সময়ে বিধাননগর পুর এলাকার মধ্যে বিধাননগর ছাড়াও রাজারহাট-গোপালপুর এবং রাজারহাট-নিউ টাউন বিধানসভার একাধিক এলাকা ঢুকে পড়ে। শেষ পুরবোর্ডে মেয়র হিসেবে সল্টলেকের বাসিন্দা সব্যসাচী দত্তকে বেছে নেওয়ার পাশাপাশি রাজারহাট-নিউ টাউনের বাসিন্দা তাপস চট্টোপাধ্যায়কে ডেপুটি মেয়র করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বোর্ডে মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যান— তিন জনই সল্টলেকের বাসিন্দা।

বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। বিধানসভা অনুযায়ী রাজারহাট-গোপালপুর থেকে ১৬ জন, বিধাননগর থেকে ১৪ জন এবং রাজারহাট-নিউ টাউন থেকে ১১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। বেশি কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও পুরবোর্ডের সর্বোচ্চ তিনটি পদের একটিতেও রাজারহাট এলাকা থেকে কাউকে কেন রাখা হবে না, তা নিয়ে নাগরিকদের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে।

সম্প্রতি মেয়র পারিষদদের শপথের অনুষ্ঠানে রাজারহাট-নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও উষ্মা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, বিধাননগর পুরসভার অধীনে হলেও সল্টলেকের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রাজারহাট। সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের বড় অংশ উন্নয়নের স্বার্থে পুরসভার সর্বোচ্চ পদগুলির একটিতে এলাকার প্রতিনিধি বসানোর পক্ষপাতী । অবশ্য পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, উন্নয়নের কাজ সর্বত্রই হবে। এমনকি, রাজারহাটের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement