—ফাইল চিত্র।
জীবন এবং জীবিকা, দুইয়ের ভারসাম্য রেখে কী ভাবে মেলা করা যায়, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন পুরকর্তারা। মঙ্গলবার তাই বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ বছর বিধাননগর মেলা (উৎসব) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত শেষমেশ গৃহীত হল।
বিধাননগরের বাসিন্দাদের কাছে অন্যতম মুখ্য আকর্ষণ বিধাননগর মেলা (উৎসব)। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও ব্যবসায়ীরা যোগ দেন। এ দিন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, এ বার বিধাননগর মেলা স্থগিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে সর্বসম্মত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
বিধাননগর মেলায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। বাসিন্দাদের বড় অংশের মতে, সম্প্রতি বড়দিনে বিধাননগর ও কলকাতার কিছু স্থানের ভিড় দেখিয়ে দিয়েছে যে উৎসবে মেতে উঠলে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা কঠিন। তাই এই সিদ্ধান্তই ঠিক।
পুর প্রশাসনের যুক্তি, মেলা হলে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে কী ভাবে ব্যবসায়ীদের বিকিকিনি বজায় রাখা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় হচ্ছিল। পুর বৈঠকে মেলা নিয়ে সব দিক থেকে আলোচনা করা হয়। শেষে মেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে সকলে সহমত হন।
ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, রাজনৈতিক সমাবেশ বা মিছিল কিংবা বিনোদন পার্কে জনসমাগম, কিছুই তো স্থগিত হচ্ছে না। তবে শুধু এই মেলা কেন স্থগিত হবে? পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে মেলা হোক। নিউ টাউন-সহ বিভিন্ন জায়গায় মেলা তো চলছেই। প্রয়োজনে ছোট হোক। কারণ এর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মানুষের রুটিরুজি। পুরকর্তাদের মতে, এই আর্থিক দিকটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে বিক্রির বিষয়টি সুনিশ্চিত করা মুশকিল। মেলা বন্ধ হলে শুধু ব্যবসায়ীরাই নন, ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রশাসনও। কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত হল।