প্রতীকী ছবি।
পোলবায় স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনায় এক স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুর পরে সল্টলেকে স্কুলগাড়ির চালক, মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিল বিধাননগর পুলিশ। শনিবার ফের স্কুলপড়ুয়া, অভিভাবক ও স্কুলগাড়ির চালকদের নিয়ে বৈঠক করল পুলিশ।
নিউ টাউনে ওই বৈঠক হয়। ন’টি স্কুলের পড়ুয়ারা যোগ দেয় তাতে। হাজির ছিলেন বিধাননগরের ডিসি (ট্র্যাফিক) ধৃতিমান সরকার-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরাও। সেখানে পড়ুয়াদের কাছ থেকে স্কুলগাড়ি সম্পর্কিত নানা অভিজ্ঞতার কথা শোনেন পুলিশকর্তারা। পাশাপাশি অভিভাবকেরা তাঁদের মতামত জানান। একই সঙ্গে চালকেরাও তাঁদের সমস্যার কথা জানান। চালক, মালিকদের
জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা নির্দিষ্ট করেছে পুলিশ।
বৈঠক থেকে কয়েকটি সমস্যার কথা উঠে আসে। যেমন, একাধিক স্কুলের পড়ুয়াকে একই গাড়িতে তোলা হয়, অতিরিক্ত পড়ুয়া নেওয়া হয়, ফলে অনেক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে দেরি হয়। সময় মতো সব পড়ুয়াকে স্কুলে পৌঁছতে গিয়ে চালকও জোরে গাড়ি চালান। স্কুলগাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো হয় না বলেও অভিযোগ ওঠে। স্কুলগাড়িগুলিকে স্কুলের আওতায় আনা হোক বলে দাবিও তোলা হয়।
চালকদের একাংশের বক্তব্য, আসন অনুসারে পড়ুয়া নিতে হলে ভাড়া বাড়াতে হয়। কিন্তু অভিভাবকেরা তা দেবেন না। আবার পুলিশের কথা মতো গাড়ি অন্যত্র ভাড়া না খাটালে পর্যাপ্ত রোজগার হবে না তাঁদের। এক চালকের কথায়, ‘‘অনেক সময়ে এক পড়ুয়ার দেরির জন্য
অন্যদের সময়ে স্কুলে পৌঁছতে দেরি হয়। তখন এক জন চালক বাধ্য হন গাড়ি জোরে চালাতে। সেই সমস্যার কথাও ভাবা প্রয়োজন। নিয়মিত এই ধরনের বৈঠক হলে আমরাও সমস্যার কথা জানাতে পারি।’’
বিধাননগর পুলিশ জানায়, শুধু পুলিশ কিংবা স্কুল নজর রাখলেই হবে না। অভিভাবকদেরও সতর্ক হতে হবে। প্রতিটি স্কুলে স্কুলগাড়ি সম্পর্কিত গাইডলাইন পাঠাবে বিধাননগর পুলিশ। নোটিস বোর্ডে লাগাতে হবে সেই গাইডলাইন, যাতে সবাই তা দেখতে পান।