ফাইল চিত্র।
শাসক দলের এক নেতার স্মরণসভার মঞ্চে উঠে বিতর্কে জড়ালেন বারাসত থানার আইসি। ওই সময়ে তিনি উর্দিতে থাকায় সেই বিতর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পুলিশ যে ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। তবে অভিযুক্ত অফিসার বা জেলার পুলিশকর্তারা বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
গত বছর বাঁকুড়ার বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বারাসতের নেতা প্রদ্যোত ভট্টাচার্য ও তাঁর ভাইয়ের। শুক্রবার রাতে বারাসতের হরিতলা মোড়ে তাঁর স্মরণসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূলের ‘হকার্স ইউনিয়ন’। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক নারায়ণ গোস্বামী, মুখপাত্র রথীন ঘোষ-সহ বেশ কয়েক জন নেতা।
সেই মঞ্চেই পুলিশের উর্দি পরে হাজির হন বারাসত থানার আইসি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তাঁকে উত্তরীয় দিয়ে বরণ করেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেখে অবাকই হয় উপস্থিত জনতা। রাতেই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে রাজি না হলেও দীপঙ্করবাবু ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি অরাজনৈতিক বলেই তিনি গিয়েছিলেন।
বিজেপি-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ যে দলদাসে পরিণত হয়েছে, তা তো আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি।” ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে উনি আসবেন তো?” এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি শুনিনি। তাই এ বিষয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দিতে পারব না।” মাস কয়েক আগে একটি রাজনৈতিক দলের রক্তদান শিবিরে যাওয়ায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল দত্তপুকুরের তৎকালীন আইসি মানস চক্রবর্তীকে।