—প্রতীকী চিত্র।
নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে ময়না তদন্তের রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত মিলেছিল। দেহ উদ্ধারকারী থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি জ়িরো এফআইআর করে তা পাঠিয়েছিল নিখোঁজ মামলা দায়ের হওয়া থানায়। কিন্তু এফআইআরটি ফেরত পাঠিয়েছে দ্বিতীয় থানা। এর ফলে তদন্তের দ্রুত অগ্রগতি বা মৃতের পরিবারের হয়রানি কমানোর মতো জ়িরো এফআইআর করার উদ্দেশ্যগুলিই বিফলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাসখানেক আগে আহিরীটোলার কাছে নাথেরবাগান ঘাট থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছিল উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। রূপকুমার সাহা (৪২) নামে ওই যুবক বরাহনগরের বাসিন্দা ছিলেন। নিখোঁজ মামলাটি দায়ের হয়েছিল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বরাহনগর থানায়। তারাই জ়িরো এফআইআরটি ফেরত পাঠিয়েছে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রের খবর, নিখোঁজ ডায়েরি হলেও তাদের এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার হয়নি। আবার খুন কোথায় হয়েছিল, তা-ও এখনও নিশ্চিত নয়। তাই সেগুলি জানতে চেয়ে এক দিনের মধ্যেই ওই এফআইএর ফেরত পাঠানো হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা জানান, কোথায় ওই ঘটনা ঘটেছে, তার উল্লেখ এফআইআরে ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় ওই ঘটনা ঘটলে তদন্ত করতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আগে তো জানতে হবে, ঘটনাস্থল কোথায়। আমরা সেটাই বলেছি কলকাতা পুলিশকে। আদালতের মাধ্যমে তা পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, মৃতের পরিবার আর কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে করেনি।’’
এফআইআর ফেরত দেওয়া নিয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগ করেনি কলকাতা পুলিশ। এফআইআর ফেরত আসায় উত্তর বন্দর থানা খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়না তদন্তের পূর্ণ রিপোর্টেরও অপেক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই যুবকের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অবসাদে ভুগছিলেন রূপকুমার। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শেষ টাওয়ার লোকেশন জানার চেষ্টা চলছে। তা জানা গেলেই খুনের ঘটনাস্থল জানা যাবে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৩ জুন সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ লেক টাউন এলাকার অফিসে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রূপকুমার। পরের দিন আহিরীটোলার নাথেরবাগান ঘাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। পকেটে থাকা পরিচয়পত্র, মোবাইল ফোন এবং নথি দেখে পুলিশ মৃতের পরিবারকে খবর দেয়।