দেশপ্রেম দিবসে মিছিলে বাম ও কংগ্রেস নেতারা। নিজস্ব চিত্র
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর সূচনাকে ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের রেষারেষির বাইরে ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালন করল বাম ও কংগ্রেস। নেতাজির জন্মদিনে শহরে যৌথ মিছিলে পা মিলিয়ে একসঙ্গে সভা করলেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। আবার আলাদা আলাদা কর্মসূচিও হল।
নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গঠিত কমিটির ডাকে শনিবার সকালে মহাজাতি সদন থেকে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিলে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, নরেন চট্টোপাধ্যায়, মনোজ ভট্টাচার্য, প্রবীর দেব, কার্তিক পালদের পাশাপাশিই ছিলেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের সভায় যোগ দেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও। তাঁদের বক্তব্য, নেতাজি যে ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাস করতেন, তা আরএসএস-বিজেপির সাম্প্রদায়িক, হিন্দু রাষ্ট্রের ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। বাংলায় ভোটের মুখে নেতাজির মতো নানা ব্যক্তিত্বকে নিয়েই টানাটানি চলছে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। কমিটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নির্বেদ রায়দের রাখা হলেও এ দিন মিছিলে তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিলেই ছিলেন শাসক দলের নেতা-বিধায়কেরা।
বিধান ভবনে এ দিন নেতাজির জন্মদিন পালনের কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, দেবব্রত বসু, কৃষ্ণা দেবনাথ প্রমুখ। গিয়েছিলেন মান্নান, প্রদীপবাবুরাও। নেতাজিকে নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। নাকতলায় এ দিন ‘জয় হিন্দ দেশপ্রেমী মঞ্চে’র উদ্যোগে ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালন করা হয় সাড়ে ১২ কেজির (১২৫ তম জন্মবার্ষিকী সূচনার প্রতীক) কেক কেটে, মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার বিতরণ এবং বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করে। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, পাপিয়া দেবরাজন, পাপিয়া অধিকারী, আরএসপি-র কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।