Tunnel

বৌবাজার পেরোল ‘উর্বী’, স্বস্তি মেট্রোর

দীর্ঘ লকডাউনের পরে গত শুক্রবার থেকে ফের সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০২:৩৫
Share:

সাফল্য: বৌবাজারের সেই বিপর্যস্ত এলাকায় সম্পূর্ণ হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। বুধবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ধস কবলিত বৌবাজারের গণ্ডি প্রায় নিঃশব্দে পেরোল টিবিএম ‘উর্বী’। পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনায় আটকে থাকা টানেল বোরিং মেশিন ‘চণ্ডী’কে পিছনে ফেলে শিয়ালদহের দিকে এগিয়ে গেল পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পৌঁছতে আরও ৪-৫ দিন সময় লাগবে ‘উর্বী’র। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমস্যা জর্জরিত জায়গাটি পেরিয়ে এসে কিছুটা স্বস্তিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

দীর্ঘ লকডাউনের পরে গত শুক্রবার থেকে ফের সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। করোনা আবহে নানা বাধা কাটিয়ে গত কয়েক দিনে মসৃণ গতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে ফের আশায় বুক বাঁধছেন মেট্রোর আধিকারিকেরা। গত বছর ৩১ জুলাই বৌবাজারে ধস নামায় পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে। তার পরেই সম্পূর্ণ থমকে যায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। প্রায় সাড়ে ছ’মাস পরে, ১৮ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের নজরদারিতে ফের কাজ শুরু হয় পূর্বমুখী সুড়ঙ্গে। তত দিনে অবশ্য পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত টিবিএম ‘চণ্ডী’কে কাজে লাগানোর আশা ছাড়তে হয়েছে মেট্রো কর্তাদের। বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হংকংয়ের বিশেষজ্ঞ জন এন্ডিকটের তদারকিতে কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে করোনা সতর্কতায় লকডাউন শুরু হওয়ায় দেশে ফিরে যান এন্ডিকট। দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু হলেও এখনও কলকাতায় ফেরা হয়নি তাঁর। তবে, সারাক্ষণ কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য এবং ছবিতে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন তিনি। প্রতি মুহূর্তের কাজের খুঁটিনাটি ঠিক করে দিচ্ছেন তিনিই।

আপাতত অনেক বেশি সতর্ক থেকে মাস কয়েকের মধ্যে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করতে চাইছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বৌবাজারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল গত জুলাইয়ে। ওই এলাকা থেকে কয়েকশো বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ওই অঞ্চলের মাটিকে স্থায়িত্ব দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ধস সম্পূর্ণ ঠেকানোর পরে কাজ শুরু করা হলেও একাধিক জীর্ণ বাড়ির গা ঘেঁষে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করতে গিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হলে শিয়ালদহ থেকে টিবিএম ‘উর্বী’কে তুলে ফের বৌবাজার অভিমুখে বসিয়ে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করা হবে। সব শেষে দু’টি টিবিএম ফের বৌবাজার থেকেই মাটি খুঁড়ে উপরে তুলে আনা হবে। ওইটুকু অংশের সুড়ঙ্গ উপর থেকেই মাটি কেটে কংক্রিটের সাহায্যে তৈরি করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: খুনের পিস্তল কি ছিল স্ত্রীর বন্ধ ফ্ল্যাটেই

আরও পড়ুন: ক্যানসার নিয়েও করোনা জয় লড়াকু যুবকের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement