—ফাইল ছবি।
বৌবাজার মেট্রো বিপর্যয়ের জেরে ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ির নতুন নকশা অনুমোদন করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। আগামী শুক্রবার মেয়র পরিষদ বৈঠক করে সেগুলির জন্য বিশেষ অনুমতি দেবে। বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে বৌবাজারে মেট্রো নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কলকাতা পুরসভা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই বৌবাজার মেট্রো নিয়ে পুরসভার অবস্থান স্পষ্ট করেন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বৌবাজার বিপর্যয়ের জেরে যাঁদের বাড়ি ভাঙা পড়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে।’’ ইতিমধ্যেই কেএমআরসিএল একটি সংস্থার মাধ্যমে নকশা তৈরি করে জমা করে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে জমা করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও অনুমতি মিলছিল না বলে অভিযোগ। মেয়র আরও বলেন, ‘‘নকশা অনুমোদনের জন্য জমা পড়েছে। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মেয়র পরিষদের বৈঠকে সেগুলি অনুমোদন দেওয়া হবে।’’
মাসিক অধিবেশনে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ প্রশ্ন তোলেন, পাঁচ বছর আগে মেট্রো বিপর্যয় হয়েছিল। যাঁদের ঘরবাড়ি হারাতে হয়েছে তাঁদের সম্পর্কে একটু তৎপর হওয়া দরকার পুরসভার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাড়ির নকশা অনুমোদনে পুরসভা কেন তৎপর হচ্ছে না? যে বাড়িগুলো মেরামত করা হয়েছে সেগুলিকে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া যায় কি না? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট কি পেশ হয়েছে? পরিষেবা চালু হওয়ার ১০ বছর অবধি বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণের বন্দোবস্ত করুন। জবাবে মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগামী শুক্রবার মেয়র পরিষদে এই ২৩টি বাড়ির নকশা অনুমোদন করা হবে বিশেষ করে। কারণ বর্তমান নিয়ম অনুসারে ছাড়-সহ আর অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলি এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। তাই বিশেষ অনুমোদন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট জমা পড়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে বাড়িগুলো মেরামত হয়েছে সেগুলির ফিট সার্টিফিকেট কর্পোরেশন দিতে পারে না। কর্পোরেশন আওতাভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে করাতে হবে। আমি চাই দ্রুত মেট্রো পরিষেবা চালু হোক। আমাদের আইন নেই যে ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলতে পারি। আবেদন করতে পারি, সেটা করেছি।’’