সরকার আইনজীবীদের প্যানেল থেকে বাদ আরও এক তৃণমূলপন্থী আইনজীবী। — ফাইল ছবি।
মনিকা পণ্ডিতের পর এ বার সৌগত মিত্র। রাজ্য সরকারি আইনজীবীর প্যানেল থেকে নাম বাদ পড়ল আরও এক আইনজীবীর নাম। ‘অফিস অব লিগাল রিমেমব্রান্সার’-এর তরফ থেকে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এ ভাবে লিগ্যাল সেল চলতে পারে না। তিনি যা করেছেন তা নীতিগত দিক থেকে একদম সঠিক। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ। বিচারপতি মান্থার এজলাসে সোমবারের পর মঙ্গল এবং বুধবারও রাজ্যের একাধিক মামলায় আইনজীবীদের অনেকেই উপস্থিত হননি। এমনকি, কেউ এজলাসে যেতে চাইলে, তাঁদেরও দরজার বাইরে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে ক্ষুব্ধ বিচারপতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার সরকারি প্যানেলের অন্যতম সদস্য হিসাবে বিচারপতি মান্থার এজলাসে হাজির ছিলেন সৌগত। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি তারই খেসারত দিতে হল তৃণমূলপন্থী আইনজীবী সৌগতকে? তবে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সৌগতকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও কারণ জানানো হয়নি।
সৌগত বলেন, ‘‘কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমার অনুরোধ, দয়া করে দেখুন কী চলছে! এ ভাবে লিগ্যাল সেল চলতে পারে না। বয়স্ক বিচারপ্রার্থীদের হয়ে রাজ্য সরকারের তরফে আমি উপস্থিত হয়েছিলাম। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আমি কেন হাজির হয়েছি, এই কারণেই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি না কোনও অপরাধ করেছি।’’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি মান্থার এজলাসে হাজির হয়েছিলেন মনিকাও। তাঁকেও রাতারাতি সরকারি আইনজীবীদের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়। এ বার বাদ গেলেন আরও এক তৃণমূলপন্থী আইনজীবী।